আনোয়ার সাঈদ তিতু, কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি:-
১৯ ডিসেম্বর ২০২৩ ইং
কুড়িগ্রাম সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে জালিয়াতির মাধ্যমে ভর্তি করা সেই সাত শিক্ষার্থীর ভর্তি বাতিল করেছেন প্রধান শিক্ষক জিয়াসমিন আরা হক। মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা রংপুরের উপপরিচালক বরাবর ভর্তি বাতিল সংক্রান্ত একটি পত্র পাঠিয়েছেন প্রধান শিক্ষক। সকালে প্রধান শিক্ষক জিয়াসমিন আরা হক নিজেই বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
উপপরিচালক বরাবর পাঠানো ভর্তি বাতিলের পত্রে ওই সাত শিক্ষার্থীর নাম, শ্রেণি ও রোল নম্বর উল্লেখ করে প্রধান শিক্ষক বলেছেন, ‘বিধিবহির্ভূতভাবে ভর্তি হওয়ায় সাত শিক্ষার্থীর ভর্তি বাতিল করা হয়েছে।’
এদিকে নির্ধারিত সময় পেরিয়ে গেলেও মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতর (মাউশি), ঢাকার মহাপরিচালকের দেওয়া কারণ দর্শানোর নোটিশের জবাব দেননি প্রধান শিক্ষক। জালিয়াতির মাধ্যমে শিক্ষার্থী ভর্তির সত্যতা পাওয়ায় গত ১৩ ডিসেম্বর প্রধান শিক্ষককে শোকজ করে মাউশি। পত্র প্রাপ্তির তিন কার্যদিবসের মধ্যে জবাব দিতে বলা হয়। তবে সোমবার নির্ধারিত সময় পার হলেও জবাব দেননি প্রধান শিক্ষক।
এ বিষয়ে প্রধান শিক্ষক বলেন, ‘আমি সময় নিয়েছি। দায়িত্বভার হস্তান্তরে ব্যস্ত থাকায় আমি মাউশির কাছে মৌখিকভাবে সময় চেয়ে নিয়েছি। তারা দ্রুত জবাব দিতে বলেছেন।’
প্রসঙ্গত, কুড়িগ্রাম সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে ২০২৪ সালে ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে প্রভাতী ও দিবা শিফটে ক ও খ শাখা মিলে মোট ২২০ জন শিক্ষার্থী ভর্তির বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। সে অনুযায়ী কেন্দ্রীয় লটারির মাধ্যমে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের তালিকা প্রকাশ করা হয়। গত ৩ ডিসেম্বর শিক্ষার্থী ভর্তি প্রক্রিয়া শুরু হয়। ভর্তি কার্যক্রমের প্রথম দিনে প্রধান শিক্ষক বিধিবহির্ভূতভাবে ষষ্ঠ শ্রেণিতে ছয় জন ও নবম শ্রেণিতে একজন শিক্ষার্থীকে ভর্তির সুপারিশ করেন। কিন্তু এদের কেউ লটারিতে ভর্তির সুযোগ পায়নি। এমনকি এক শিক্ষার্থী অনলাইনে আবেদনও করেনি। ওই সাত শিক্ষার্থীর মধ্যে ষষ্ঠ শ্রেণির চার শিক্ষার্থী কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজের চার শিক্ষকের সন্তান। ভর্তি কমিটির সদস্য শিক্ষকরা এতে আপত্তি জানালে প্রধান শিক্ষক জেলা প্রশাসকের সঙ্গে কথা বলে নিয়েছেন জানিয়ে তাদের ভর্তি করাতে বলেন। পরে সাত শিক্ষার্থীর ছয় জনকে প্রভাতী শিফটে ৬ষ্ঠ শ্রেণির ‘ক’ শাখায় ও অপর একজনকে নবম শ্রেণিতে ভর্তি করা হয়। বিষয়টি নিয়ে সংবাদ প্রকাশ হলে ঘটনা তদন্তের নির্দেশ দেয় মাউশি। তদন্ত কমিটি জালিয়াতির মাধ্যমে শিক্ষার্থী ভর্তির সত্যতা পায়। পরে প্রধান শিক্ষককে শোকজ করে মাউশি।
Leave a Reply