মোঃ তাওরাত, বরগুনা প্রতিনিধি:-
বরগুনার আমতলী উপজেলার চাওড়া ইউনিয়নের হলদিয়া বাজার এলাকায় সেতু ভেঙে বরযাত্রীবাহী একটি মাইক্রোবাস খালে পড়ে গেছে। এতে ৯ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ প্রাণহানীর ঘটনায় নির্মাণকারী ঠিকাদারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করেছে কয়েক হাজার মানুষ।
এতে আহত হয়েছেন মাদারীপুরের শিবচরের সাবেক সেনাসদস্য মাহাবুবুর রহমান সবুজও।
এ ঘটনায় নিহতরা হলেন মাহাবুবের ভাই সোহেলের স্ত্রী রাইতি (৩০), মাহাবুবের মা ফরিদা বেগম (৪০), মামি মুন্নি বেগম (৪০), তার সন্তান তাহিয়া (৭), তাসদিয়া (১১), আরেক মামি ফাতেমা বেগম (৪০), রুমি বেগম (৪০)। এ ছাড়া আমতলীর দক্ষিণ তক্তাবুনিয়া জহিরুল ইসলামের স্ত্রী জাকিয়া এবং মেয়ে রিদি (৫)।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বেলা ২টার দিকে হলদিয়া ইউনিয়নের ঝুঁকিপূর্ণ সেতু দিয়ে একটি মাইক্রোবাস ও অটোরিকশা পার হওয়ার সময় সেতু ভেঙে খালে পড়ে যায়। এ সময় অটোরিকশার যাত্রীরা বের হয়ে আসলেও মাইক্রোবাসের যাত্রীরা বের হতে পারেননি। এতে মাইক্রোবাস খালে পড়ে ওই ৯ বরযাত্রী নিহত হয়েছেন।
এ বিষয়ে আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাখওয়াত হোসেন তপু বলেন, ‘আমতলী উপজেলা ৫ নম্বর চাওড়া ইউনিয়ন এবং ৪ নম্বর হলদিয়া ইউনিয়নে হলদিয়া হাট সেতু ভেঙে বরযাত্রীবাহী মাইক্রোবাসটি খালে পড়ে যায়। সেতু ভেঙে ৯ জনের প্রাণহানীর ঘটনা ঘটেছে।’
ঠিকাদার শহীদুল ইসলাম মৃধা বলেন, ‘আমি যথাযথ ভাবেই সেতু নির্মাণ করেছি। সেতু নির্মাণ কাজে কোন অনিয়ম করিনি।’
আমতলী উপজেলা প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘আমতলীতে আমার যোগদানের আগে এ সেতু নির্মাণ করা হয়েছে। এ বিষয়ে আমার কিছুই জানি না।’
বরগুনা জেলা প্রশাসক রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘ঘটনাস্থল পরিদর্শণ করেছি। এ সেতু নির্মাণ যে ঠিকাদার অনিয়ম করেছে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
বরগুনা-১ আসনের সাংসদ গোলাম সরোয়ার টুকু বলেন, ‘ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে বিক্ষুব্ধ মানুষকে শান্ত করেছি। সেতু নির্মাণে অনিয়মের কারণে এমন ঘটনা ঘটে থাকলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। নিহতের পরিবারকে আর্থিকভাবে সহায়তা করা হবে।’
Leave a Reply