1. lakituli@gmail.com : admin : Engr. Md. Lakitul Islam
  2. lakitul.umec@gmail.com : Sarder Alamin : Alamin Sarder
মঙ্গলবার, ১৭ জুন ২০২৫, ০৫:০৩ অপরাহ্ন
নোটিশ :
বিভিন্ন জেলা,উপজেলা-থানা,পৈারসভা,কলেজ ও ইউনিয়ন পর্যায় সংবাদকর্মী আবশ্যক ।
সংবাদ শিরনাম :
কুড়িগ্রাম ধরলায় অজ্ঞাত ব্যক্তির লাশ উদ্ধার অসময়ে বন্যায় ফসলের ক্ষতি পুষিয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর আপ্রাণ চেষ্টা কৃষকের কুড়িগ্রামের রৌমারী সীমান্তে ৪৫ বোতল ভারতীয় মদ উদ্ধার কুড়িগ্রামের চরে নদী ভাঙ্গনে নেই ঈদের আনন্দ কুড়িগ্রামের চরাঞ্চলে কোরবানি ছাড়াই ঈদ কুড়িগ্রামে ঈদের ছুটিতে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে বিশেষ নিরাপত্তা জোরদার কোরবানির ঈদে ব্যস্ত সময় পার করছে কুড়িগ্রামের কামারেরা বৃষ্টি আর উজানী ঢলে ৩০০ হেক্টর জমির প্রায় সাড়ে ৩ কোটি টাকার ফসলের ক্ষতি কুড়িগ্রামে নববধূর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার, স্বামী গ্রেফতার কুড়িগ্রামের রৌমারী ঘাটে দেরিতে নৌকা ছাড়ায় সংঘর্ষে আহত ৫

আট জাতের আম ধরেছে একটি গাছে

  • প্রকাশিত : শুক্রবার, ২ জুন, ২০২৩
কলম পদ্ধতি প্রয়োগ করায় গাছটিতে ধরেছে আট জাতের আম।

মাদারীপুরের মস্তফাপুর হর্টিকালচার সেন্টারের উদ্যানতত্ত্ববিদেরা একটি আমগাছে এমন কলম পদ্ধতি প্রয়োগ করেছেন, যাতে গাছটিতে আট জাতের আম ধরেছে। আট রঙের আমগুলো দেখতে যেমন বাহারি, তেমনি সুস্বাদু। গাছটিতে বছরের ১২ মাসই আম ধরবে বলে জানিয়েছেন উদ্যানতত্ত্ববিদেরা।

মস্তফাপুর হর্টিকালচার সেন্টার সূত্রে জানা যায়, প্রতিষ্ঠানটিতে ২০২২ সালে একটি উন্নত জাতের আমগাছ রোপণ করা হয়। ছয় মাসের মাথায় গাছটির প্রধান শাখাটি মরে যায়। এরপর গোড়ায় দিক থেকে গাছটিতে নতুন করে ১০টি ডাল গজায়। ডালগুলোতে কলম তৈরির মাধ্যমে ১০টি ভিন্ন জাতের আমগাছের ডাল বসানো হয়। এর মধ্যে আটটি জাতের কলম বেঁচে যায়। বছর ঘুরতে না ঘুরতেই ফলন দেওয়া শুরু করে গাছটি।

গাছটিতে মোট আট জাতের আম ধরেছে। এগুলো হলো মিয়াজাকি, পালমার্ক, থাই জাম্বু, কাটিমন, বারি আম-১১, কিউজাই, হিমসাগর ও বানানা। এ গাছ থেকে ১২ মাস আম পাওয়া যাবে। বর্তমানে হর্টিকালচার সেন্টারে এমন আরও চারা গাছ তৈরির কার্যক্রম চলছে।
মাদারীপুর হর্টিকালচার সেন্টারের উপপরিচালক আশুতোষ কুমার বিশ্বাস প্রথম আলোকে বলেন, গাছটি অভিনব কলম পদ্ধতিতে তৈরি। বীজের চারা থেকে কলম করার মাধ্যমে এটি করা হয়েছে। একই গাছে বিভিন্ন জাতের আমের সংমিশ্রণ তৈরি করায় বছরজুড়ে গাছটি থেকে আম পাওয়া যাবে। গাছটি ইতোমধ্যে জনপ্রিয়তা পেয়েছে, অনেকেই গাছটি নিতে আগ্রহ দেখাচ্ছেন। সারা দেশে এ ধরনের আমগাছের চারা উৎপাদন করতে এখানকার উদ্যানতত্ত্ববিদরা গবেষণা শুরু করেছেন।

মস্তফাপুর হর্টিকালচার সেন্টারে গিয়ে দেখা যায়, প্রায় ১০ ফুট উচ্চতার গাছটিতে ঝুলছে নানা জাতের আম। লাল, সবুজ ও খয়েরি রঙের এসব আমের আকৃতিও ভিন্ন। গাছটির কয়েকটি ডালে আম এরই মধ্যে পরিপক্ব হয়েছে। আবার কোনো ডালে শুধু আমের মুকুল এসেছে, কোনোটিতে এখনো কাঁচা আম ঝুলছে।

আমগাছটি দেখতে অনেকেই হর্টিকালচার সেন্টারে আসছেন। এসব কৌতূহলি দর্শনার্থী মুঠোফোনে গাছটির ছবি তুলছেন।

গাছটিতে ধরা আট জাতের আমের আকার ও রঙেও রয়েছে বৈচিত্র্য

মাদারীপুর শহরের কলেজ রোড এলাকা থেকে মেহেদী হাসান নামের এক তরুণ হর্টিকালচার সেন্টারে এসেছিলেন আমগাছের চারা কিনতে। এ আমগাছটি দেখে তাঁর বিস্ময়ের সীমা নেই। মেহেদী হাসান প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমার বাড়িতে এ ধরনের আমগাছ লাগাতে চাই। কিন্তু এখনো এটি বাণিজ্যিকভাবে বিক্রি শুরু হয় নাই। একটি গাছে আট ধরনের আম ধরতে পারে এটা আমি কল্পনাও করতে পারি নাই। এই প্রথম এমন অদ্ভুত আমগাছ দেখলাম।’

হর্টিকালচার সেন্টার এসেছেন আলী শিকদার নামের আরেক যুবক বলেন, ‘গাছটি দেখে আমার ভীষণ ভালো লাগছে। এটি বিজ্ঞানসম্মত সৃজনশীলতা। আমরা আটটি গাছ না লাগিয়ে যদি এমন একটি গাছ লাগাতে পারি, তাহলে আমাদের জায়গার কম লাগবে। আবার এক গাছ থেকে ভিন্ন ভিন্ন স্বাদের আম সারা বছর খেতে পারব।’

হর্টিকালচার সেন্টারে ঘুরতে আসা কলেজছাত্রী ফারজানা আক্তার বলেন, ‘এখানে অনেক জাতের ফুল ও ফলের গাছ রয়েছে। প্রতিটি গাছ সুন্দর। এসবের মধ্যে ব্যতিক্রমী একটি আমগাছে আট ধরনের আম ধরেছে। এটি সত্যিই বিস্ময়কর।

( খবর সংগৃহীত )

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

‍এই ক্যাটাগরির ‍আরো সংবাদ