নিজস্ব প্রতিবেদক ::
সামান্য মুদি দোকানের কর্মচারী দেব দুলাল রায়ের একমাত্র মেয়ে দীপান্বিতা রায় এসএসসি এবং এইচএসসিতে গোল্ডেন জিপিএ-৫ পেয়ে মেধাবীকতার পরিচয় দিয়েছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্যুরিজম এন্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের মেধাবী ছাত্রী সে। বাবা করোনা কালিন কর্মহীন হয়ে পরলেও দমে যাননি দীপান্বিতা।
বরিশাল নগরীর হাসপাতাল রোড নতুন বাজার এলাকায় কোন মতে মা বাবাকে নিয়ে বসবাস তাদের। ছোট বেলা থেকে স্বপ্ন দেখছেন জীবনে অনেক বড় হবেন আর সেই স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করতে সুধু প্রাইভেট পড়িয়ে নিজের শিক্ষা জীবনের হাল ধরেন। বেশ কিছুদিন ধরে একটু একটু করে জমানো টাকা দিয়ে একটি ল্যাপটপ কেনার স্বপ্ন দেখেন। কিন্তু সেই স্বপ্নের পথে বাধ সাধে করোনা ভাইরাস। বাবা হারান তার চাকরি দীপান্বিতা হারান তার টিউশনি। এমন পরিস্থিতিতে হাড় না মেনে উচ্চ শিক্ষার আশায় ডিজিটাল বাংলাদেশর তথ্য প্রযুক্তির শিক্ষা সহায়ক হিসেবে ল্যাপটপ কেনার জন্য তার সঞ্চিত অর্থ নিয়ে গরিবের জেলা প্রশাসক জসীম উদ্দীন হায়দার এর কাছে সহযোগিতা চেয়ে আবেদন করে বেশ কিছুদিন পূবে।
এর মধ্যে যাচাই বাছাই শেষে আজ ১৯ অক্টোবর মঙ্গলবার দুপুর ১ টার দিকে দীপান্বিতার স্বপ্ন পুরনের হাতিয়ার ল্যাপটপ তুলে দেন জেলা প্রশাসক জসীম উদ্দীন হায়দার। এসময় ল্যাপটপ পেয়ে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন দীপান্বিতা রায়।
সে বলেন, আমি জানতাম ডিসি স্যারেরা বড়লোকদের ডিসি হয় আজ আমার ভুল ভাঙলো আমাদের ডিসি স্যার গরীবের ডিসি। এসময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক) (রাজস্ব) বরিশাল গৌতম বাড়ৈ, প্রফেশন অফিসার জেলা প্রশাসকের কার্যালয় বরিশাল, সাজ্জাদ পারভেজসহ আরো অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
জেলা প্রশাসক তার প্রতিক্রিয়ায় বলেন, আমরা যদি এমন শিক্ষিত মেধাবী সন্তানদের পাশে না দাঁড়ায় তবে কে দাড়াবে। সে হয়তো কষ্ট করে অনেকটা অর্থ যুগিয়েছে তার ইচ্ছা শক্তি খুবি প্রখর আমরা সুধু তার পাশে এসে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছি। এই ল্যাপটপ তার শিক্ষাকার্যক্রমে সহায়ক হিসেবে কাজে আসবে বলে আমার বিশ্বাস।
Leave a Reply