1. lakituli@gmail.com : admin : Engr. Md. Lakitul Islam
  2. lakitul.umec@gmail.com : Sarder Alamin : Alamin Sarder
রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ১২:১৬ পূর্বাহ্ন
নোটিশ :
বিভিন্ন জেলা,উপজেলা-থানা,পৈারসভা,কলেজ ও ইউনিয়ন পর্যায় সংবাদকর্মী আবশ্যক ।
সংবাদ শিরনাম :
যথাযথ মর্যাদায় ঐতিহাসিক বড়াইবাড়ী দিবস পালন ৪০০ বছরের মসজিদ দেখতে আসে দূর-দূরান্তের মানুষ ভারতের এক তরফা পানি প্রত্যাহারে অস্তিত্ব সংকটে কুড়িগ্রামের ১৬ নদ-নদী মাদক কারবারির বাড়িতে পুলিশের অভিযানে মাদকসহ গ্রেফতার ১ কুড়িগ্রামে হামলার মামলায় ইউপি চেয়ারম্যান গ্রেফতার বর্ণাঢ্য আয়োজনে কুড়িগ্রামে বর্ষবরণ উদযাপন কুড়িগ্রামে সেনাবাহিনীর অনুপ্রেরণা বিষয়ক সেমিনার মা-মেয়েকে উত্ত্যক্তের ঘটনায় মাইকিং করে সংঘর্ষ মহাসড়কে অবৈধ যান ট্রাক্টরের চাপায় ঝড়লো তাজা ২ স্কুলছাত্রের প্রাণ চাঁপাইনবাবগঞ্জে আব্দুল হাকিম পিন্টুর খুনিদের গ্রেফতার ও শাস্তির দাবীতে মানববন্ধন

৫ বছর থেকে তেল শুন্য ভাসমান দুই ডিপো

  • প্রকাশিত : রবিবার, ১৩ অক্টোবর, ২০২৪
ছবি লোড হচ্ছে...........
আনোয়ার সাঈদ তিতু, কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধি:-
শনিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৪ ইং ০৮:০১ এএম.
কুড়িগ্রামের চিলমারীতে প্রায় পাঁচ বছর ধরে ভাসমান তেল ডিপো যমুনা অয়েল কোম্পানি লিমিটেড ও মেঘনা পেট্রোলিয়াম লিমিটেডের বার্জ দুটি জ্বালানি তেলশূন্য অবস্থায় পড়ে আছে। তেল না থাকায় বিপাকে পড়েছেন কয়েক লাখ ভোক্তা।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ব্রহ্মপুত্র নদের নাব্য সংকট দেখিয়ে দীর্ঘ সময় ধরে তেলশূন্য অবস্থায় আছে বার্জগুলো। অথচ এই ব্রহ্মপুত্র নদের রুট ব্যবহার করে প্রতিনিয়ত ভারত থেকে পণ্য আনা-নেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এই রুটে চলাচল করছে ফেরি।
দায়িত্বশীল সূত্রে জানা গেছে, ১৯৮৯ সালে মেঘনা ও যমুনা কোম্পানির দুটি ভাসমান তেল ডিপো স্থাপিত হয় চিলমারীতে। ডিপো দুটির অনুমোদিত ২২ জন ডিলার রয়েছেন।
এদিকে, এই তেল ডিপো থেকে কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা, জামালপুর ও লালমনিরহাট জেলার কয়েকটি উপজেলায় জ্বালানি তেল সরবরাহ হতো। ২০২০ সালের ৮ জানুয়ারি যমুনা অয়েল কোম্পানি লিমিটেড ও ২২ ফেব্রুয়ারি মেঘনা পেট্রোলিয়াম লিমিটেডের তেল শেষ হয়ে যাওয়ার পর থেকে অজানা কারণে ডিপো দুটিতে তেল আসা বন্ধ রয়েছে।
স্থানীয় তেল ডিলারদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তেলের দাম বৃদ্ধি ও ডিপো দুটি তেলশূন্য হয়ে পড়ায় পার্বতীপুর বা রংপুর ডিপো থেকে ১০১.৭০ টাকায় কিনে সড়কপথে তেল আনতে অতিরিক্ত পরিবহন ব্যয়, ঘাটতি ও লেবার খরচ প্রতি লিটারে প্রায় ২ টাকা বেশি হয়। সবমিলে ডিলারদের তেল কিনে চিলমারী পর্যন্ত আনতে প্রায় খরচ পড়ে ১০৩.৭০ টাকা। এরপর খুচরা বিক্রেতা থেকে ক্রেতা। ফলে কৃষকের তেল কিনতে হচ্ছে ১০৬-১১০ টাকায়।
ভাসমান ডিপো দুটি উপজেলার জ্বালানি তেলের চাহিদা মেটানোর পর পার্শ্ববর্তী নারায়ণপুর, যাত্রাপুর, সাহেবের আলগা, রৌমারী, রাজিবপুর, সানন্দবাড়ী, জাফরগঞ্জ, কামারজানী ও উলিপুর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় সেচ মৌসুমে ভাসমান তেল ডিপো থেকে প্রতিদিনের তেলের চাহিদা প্রায় ৭৫০ ব্যারেল বা ১ লাখ ৫০ হাজার লিটার এবং ব্রহ্মপুত্র নদে চালিত নৌকা, ড্রেজার মেশিন, জমি চাষের ট্রাক্টর, বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে চালিত জেনারেটর, মাহেন্দ্র গাড়ি, নছিমন-করিমনসহ বিভিন্ন যন্ত্র চালনার জন্য প্রতিদিন অতিরিক্ত প্রায় ১০০ থেকে ১৫০ ব্যারেল বা ২০-৩০ হাজার লিটার তেলের চাহিদা রয়েছে। এ ছাড়া সম্প্রতি চরাঞ্চলে ব্যাপক ভুট্টা চাষের জন্য জমি চাষ ও সেচ মিলে প্রতিদিন প্রায় ২০-৩০ হাজার লিটার তেলের চাহিদা রয়েছে।
অন্যদিকে, ডিপো দুটি দীর্ঘদিন বন্ধ থাকায় সেখানে দৈনিক হাজিরার ভিত্তিতে কর্মরত ১৭ কর্মচারীসহ প্রতিদিন খেটে খাওয়া প্রায় ৩০০ শ্রমিকের কাজ না থাকায় প্রায় ৫ বছর ধরে পরিবার-পরিজন নিয়ে তারা মানবেতর জীবনযাপন করছেন।
এ ব্যাপারে যমুনা অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের ডিপো ইনচার্জ মো. শরিফুল ইসলাম জানান, ভাসমান ডিপোটি বিপিসির একটি টিম পরিদর্শন করে গেছে। ডিপোটি স্থায়ীকরণের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।
মেঘনা অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের ডিপো ইনচার্জ (ভারপ্রাপ্ত) শফিক আহমেদ বলেন, আমি ভারপ্রাপ্ত দায়িত্বে আছি। এ বিষয়ে কিছু বলতে পারব না।
কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক নুসরাত সুলতানা জানান, ডিপো দুটি যেহেতু কৃষির সঙ্গে জড়িত, অবশ্যই বিষয়টি খতিয়ে দেখব। কেন এখানে তেল আসছে না, বর্তমানে কী অবস্থা।

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

‍এই ক্যাটাগরির ‍আরো সংবাদ