আনোয়ার সাঈদ তিতু, কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধি:-
বৃহস্পতিবার, ১০ অক্টোবর ২০২৪ ইং ১২:০১ পিএম.
সাত বছর অনুপস্থিত থেকে বেতন উত্তোলন, ভুয়া নিয়োগ বাণিজ্যে অর্থ আত্মসাৎসহ নানা অনিয়মের অভিযোগ প্রমাণ হওয়ায় উলিপুর কৃষ্ণমঙ্গল স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ মাহমুদ হাসানকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে ব্যবস্থাপনা কমিটি।
এর আগে অধ্যক্ষের অপসারণ করে শিক্ষার পরিবেশ ফিরিয়ে আনার দাবি জানিয়ে ছাত্র-জনতা মানববন্ধন ও নাগরিক সমাবেশ করে।
অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মো. আব্দুল হাই তদন্ত করে সত্যতা পেয়েছেন। তাঁর বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলার সুপারিশ করে প্রতিবেদন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে দাখিল করা হয়েছে। এ ছাড়া প্রতিবেদনের আলোকে জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে সহকারী অধ্যাপক সোলায়মান আলীকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
অভিযোগ থেকে জানা গেছে, মাহমুদ হাসান ২০১৫ সালে অধ্যক্ষ হিসেবে যোগদান করেই দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়েন। ২০১৭ সাল থেকে টানা সাত বছর অনুপস্থিত থেকেও বেতন উত্তোলন করেন। তাঁর দীর্ঘ অনুপস্থিতিতে পাঠদানে অচল অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী ভুয়া নিয়োগ দেখিয়ে পাঁচজনের কাছ থেকে ৫০ লাখ টাকা হাতিয়ে নেন। তার বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেছেন ভুক্তভোগী মো. জাহিদুল ইসলাম। এ ছাড়া তিনি কলেজের পুকুর, দোকান লিজের টাকাও আত্মসাৎ করেছেন।
মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক অধিদপ্তর ও দিনাজপুর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড আর্থিক লেনদেনের প্রমাণ পাওয়ায় তাঁকে চাকরি থেকে অপসারণের নির্দেশ দিলেও প্রভাব খাটিয়ে বিষয়টি ধামাচাপা দিয়েছেন। এসব অভিযোগে ম্যানেজিং কমিটি তাঁর বেতন-ভাতা বন্ধের সুপারিশ করলেও কাজ হয়নি।
ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. সোলায়মান আলী সরকার বলেন, ‘পাঠদানে অচল অবস্থা দেখা দিয়েছিল। সুষ্ঠু পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে আমরা চেষ্টা করছি।’
এ বিষয়ে কথা বলতে অধ্যক্ষ মো. মাহমুদ হাসানের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল দেওয়া হয়। তিনি ফোন ধরেননি। তবে তদন্ত কর্মকর্তা বরাবর এক লিখিত জবাবে অভিযোগ অস্বীকার করে এসবের জন্য সহকারী প্রধান শিক্ষক, তাঁর শ্যালক ও তৎকালীন ম্যানেজিং কমিটি দায়ী বলেছেন।
Leave a Reply