আনোয়ার সাঈদ তিতু, কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধি:-
রোববার, ২৩ জুন ২০২৪ ইং ০৭:৫৯ পিএম.
কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলায় একটি চিতাবাঘের বাচ্চা উদ্ধার করা হয়েছে। বাচ্চাটি ১৬ জুন রাতে আরএস ফ্যাশন নামের একটি দোকানে ঢুকে পড়েছিল। পরে দোকানের মালিক সেটিকে খাঁচায় আটকে রাখেন। ৬ দিন পর, রোববার (২৩ জুন) সকালে পর বন বিভাগের কর্মকর্তারা উদ্ধার করেন বাঘের বাচ্চাটিকে।
ওই দোকানের মালিক রাসেল ইসলাম জানান, সেদিন রাত প্রায় আড়াইটার দিকে আমার দোকানে চিতাবাঘের বাচ্চাটি প্রবেশ করে। প্রথমে মনে করি সেটি বিড়াল। কিন্তু ভালো করে দেখি চিতাবাঘের বাচ্চা। পরে পাটের চট দিয়ে বাচ্চাটিকে ধরে খাঁচায় আটকে রাখি। বাচ্চাটি মানুষ দেখলে গর্জে ওঠে এবং ভয় পায়। বাচ্চাটিকে বিভিন্ন প্রকার মাংস খাওয়ানো হয়।
স্থানীয় আব্দুস সালাম মিয়া বলেন, পার্শ্ববর্তী ভারতের আসাম প্রদেশের মানকারচর পাহাড় থেকে বন্যার পানির স্রোতে চিতাবাঘের বাচ্চাটি বাংলাদেশে চলে আসে। উপজেলার যাদুরচর ইউনিয়নের কর্তিমারী বাজারে গভীর রাতে একটি দোকানে সেটি ঢুকে পড়ে। দোকানের মালিক বাচ্চাটিকে না মেরে বাড়িতে একটি খাঁচায় আটকে রাখেন। শনিবার বন বিভাগের নিকট হস্তান্তর করেছে।
রৌমারী বন বিভাগের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইকবাল হোসেন বলেন, গ্রামে একটি চিতাবাঘের বাচ্চা ঢুকে পড়ার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যাই এবং চিতাবাঘের বাচ্চাটিকে উদ্ধার করা হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাহিদ হাসান খান বলেন, বন বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। তারা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন।
Leave a Reply