আনোয়ার সাঈদ তিতু, কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধি:-
বৃহস্পতিবার, ৬ জুন ২০২৪ ০৭:৫৯ পিএম.
কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ওয়াশ ফিট প্রকল্পের কাজ নিয়ে হরিলুটের অভিযোগ উঠেছে।
ইউনিসেফ’ র অর্থায়নে দুস্থ স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ( ডিএসকে) নাগেশ্বরীর প্রকল্প ব্যবস্থাপক এবং উক্ত কাজের ঠিকাদার উভয়ের যোগসাজসে হরিলুটের খবর প্রকাশ হওয়ায় উপজেলার সর্বত্র অসন্তোষ ছড়িয়ে পড়েছে।
প্রকাশিত তথ্যে জানা যায়, প্রায় ৩০লক্ষ টাকা ব্যয়ে কুড়িগ্রামের তিনটি উপজেলার মধ্যে নাগেশ্বরী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সও ওয়াশ ফিট (পয়ঃনিষ্কাশন, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা) প্রকল্প অনুমোদন পাওয়ার পর কাজের কাজ কিছুই হয়নি, ভুয়া বিল ভাউচারে প্রকল্পের অর্থ হরিলুট করা হয়েছে।
এ বিষয়ে প্রকল্প বাস্তবায়নকারী দুঃস্থ স্বাস্থ্য কেন্দ্র ডিএসকের মাঠ পর্যায়ের নিষ্কৃয়তায় স্ব-ঘোষিত ঠিকাদার ও স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দালাল চক্রকে দায়ী করে
স্থানীয়রা সুষ্ঠু তদন্ত দাবি করে অর্থ হরিলুট কারীদের আইনের আওতায় আনার জোর দাবি জানিয়েছে।
স্থানীয়রা এও জানায়, দরপত্র ছাড়াই গোপনে পছন্দের ঠিকাদার নিয়োগ, মনগড়া ব্যক্তিদের নিয়ে প্রকল্প বাস্থবায়ন কমিটি গঠন, নিম্ন মানের উপকরণ দিয়ে রাতের আধারে তড়িঘড়ি করে প্রকল্পের কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে এমন খবর সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ায় মিডিয়া কর্মীরা এসব বিষয়ে ইউনিসেফ বাংলাদেশের মিডিয়া স্পেশালিষ্ট ফারিয়া সেলিম ও মিডিয়া উইং অফিসার ফারজানা সুলতানার নিকট জানতে চাইলে তারা জানায়, মাঠ পর্যায়ে প্রকল্প তদারকি করার মতো ইউনিসেফের অতো জনবল নেই। ওয়াশ ফিট প্রকল্প বাস্তবায়নকারী সংস্থা ডিএসকের কাজে অবহেলার অভিযোগ পেলে বিষয়াটি খতিয়ে দেখা হবে। অপর দিকে উক্ত পকল্পের -প্রকল্প ব্যবস্থাপক ডিএসকের এম এ রব পাটোয়ারী বলেন, এটা সরকারি কাজ আপনারা সরকারকেই জিজ্ঞাসা করেন। প্রকল্প সহকারী প্রোকৌশলী নাবিদ ফয়সাল জানায়, কাজ এখনো শুরু হয়নি, কাজ শুরু হলেও সরকারের অনুমতি ছাড়া সাংবাদিকদের কাজ দেখা নিষেধ। তবে জেলা সিভিল সার্জন ডাক্তার মঞ্জুর এ মুর্শেদ বলেন, ইউনিসেফের প্রকল্পটি বাস্তবায়নের বিষয়ে আমাকে তেমন কিছুই জানানো হয়নি। দু’বার মিটিং করেছে তারা, এতটুকুই জানি।
অপরদিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন গুরুতর অভিযোগ করে বলেন, আমার সিল ও স্বাক্ষর জাল করে ঠিকাদার নিয়োগ করা হয়েছে। কাজ কবে কিভাবে বাস্তবায়ন করা হবে বা হয়েছে এসব বিষয়ে আমার জানা নেই এবং হস্তক্ষেপ করার এখতিয়ারও আমার নেই।
এছাড়াও প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির সদস্য সচিব ডাক্তার সাহেব আলী ও সদস্য ডাক্তার ফতেখার উল ইসলাম জানায়, কমিটিতে আমাদের নাম ও স্বাক্ষর থাকলেও আমরা এ বিষয়ে কিছুই জানিনা।
অপরদিকে ঠিকাদার পরিচয় দেয়া স্বঘোষিত ছাত্রনেতা প্রকল্পের কাজের সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, সাংবাদিকেরা যা খুশি লেখুক তাতে কিছু যায় আসে না, আর স্থানীয়রা জানায়, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করলে থলের বিড়াল বেরিয়ে পড়বে নিশ্চিত।
Leave a Reply