1. lakituli@gmail.com : admin : Engr. Md. Lakitul Islam
  2. lakitul.umec@gmail.com : Sarder Alamin : Alamin Sarder
বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১:২২ অপরাহ্ন
নোটিশ :
বিভিন্ন জেলা,উপজেলা-থানা,পৈারসভা,কলেজ ও ইউনিয়ন পর্যায় সংবাদকর্মী আবশ্যক ।
সংবাদ শিরনাম :
কুড়িগ্রামে উপজেলা আ.লীগ নেতা গ্রেফতার ‘বন্ধু’ সংগঠনের সৌজন্যে শীতবস্ত্র পেলো ৫ শতাধিক শীতার্ত কুড়িগ্রামে ডিজেল পাচার কালে আটক ২ ভারতে অনুপ্রবেশের সময় বিজিবি কর্তৃক যুবক আটক নেত্রকোনা বারহাট্টয় যুবপুরামের উদ্যোগে হুইসেল ব্লোয়ারদের অন্তর্ভুক্তি সভা অনুষ্ঠিত ব্রহ্মপুত্রের ভাঙ্গন ঠেকাতে স্থায়ী ব্যবস্থার দাবিতে নদীতীরে মানববন্ধন মেয়াদোত্তীর্ণ কীটনাশক বিক্রয়ের দায়ে ৩ দোকানিকে জরিমানা দোকান উচ্ছেদের নামে হামলা, লুটপাটের ঘটনায় ব্যবসায়ীদের মানববন্ধন কুড়িগ্রামে বিনামূল্যে উচ্চ ফলনশীল ব্রি-১০০ ধানবীজ বিতরণ কুড়িগ্রামে পিলখানা হত্যা ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের দাবিতে মানববন্ধন

সরকারি খাদ্যগুদামে ভুয়া কৃষকদের কাছে ধান সংগ্রহ

  • প্রকাশিত : বুধবার, ৫ জুন, ২০২৪
ছবি লোড হচ্ছে.......
আনোয়ার সাঈদ তিতু, কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধি:-
মঙ্গলবার, ৪ জুন ২০২৪ ইং ০৪:০০ পিএম.
কুড়িগ্রামের চিলমারী সরকারি খাদ্যগুদামে ভুয়া কৃষকের তালিকায় ধান সংগ্রহ করা হচ্ছে সিন্ডিকেট চক্রের কাছ থেকে। লটারির মাধ্যমে কৃষকের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। তবে প্রকাশিত সেই তালিকার প্রায় বেশির ভাগ কৃষকের নামের সাথে ব্যবহৃত ফোন নম্বরের কোনো মিল পাওয়া যায়নি। এসময় এক কৃষককে ফোন দিলে ওই নম্বরের অপর পাশে থেকে চিলমারী মডেল থানার এক পুলিশ সদস্য কথা বলেন।
ধান বেচাকেনার প্রক্রিয়া ডিজিটালাইজড করা হলেও কীভাবে ভুয়া কৃষকের নাম তালিকায় অর্ন্তভুক্ত হয়েছে প্রশ্ন তুলেছেন স্থানীয় কৃষকরা। এদিকে ভুয়া তালিকার বিষয়ে সংশ্লিষ্ট দপ্তর দায় এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন।
জানা গেছে, চলতি বোরো মৌসুমে উপজেলার ৬টি ইউনিয়নে মোট ২২৯ জন কৃষকের কাছ থেকে ৬৮৮ মেট্রিক টন ধান, ৪৫ টাকা প্রতিকেজি দরে উপজেলার ৪০ জন মিলারের মাধ্যমে ১ হাজার ৯৬ মে. টন চাল ও প্রতি কেজি ৩৪ টাকা দরে ৯০ মে.টন গম ক্রয় করা হবে।
চিলমারী এলএসডি ভবনে তালিকা টাঙানো উপজেলার ৬টি ইউনিয়নে মোট ২২৯ জন কৃষকের মধ্যে এ পর্যন্ত ২০জন কৃষক ৬০ মেট্রিক টন ধান গুদাম জাত করেছেন। তবে ওই ২০জন কৃষকের তালিকা দেখাতেও অপরাগতা প্রকাশ করেন দায়িত্বরত মাইদুল ইসলাম নামে এক কর্মচারী। তিনি বলেন, তালিকা নিতে হলে জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের প্রত্যয়ন দেখাতে হবে।
সরেজমিন দেখা গেছে, উপজেলা খাদ্যগুদাম চত্বরে ধান বোঝাই ট্রলি অপেক্ষা করছে। এ সময় কৃষকদের উপস্থিতি না থাকলেও কয়েকজন ধান ব্যবসায়ীকে দেখা যায়।
অনুসন্ধানে জানা যায়, সিন্ডিকেট চক্র নানা কারসাজির মাধ্যমে কৃষকের ভুয়া তালিকা দেখিয়ে গুদামে ধান দিচ্ছে। পরে তালিকার সূত্র ধরে উপজেলার থানাহাট, রমনা, রাণীগঞ্জ, নয়ারহাট, অষ্টমীর ও চিলমারী ইউনিয়নের তালিকাভুক্ত কৃষকদের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তারা চিলমারীর বাসিন্দা নন বলে জানান।
তালিকা ভুক্ত থানাহাট ইউনিয়নের কৃষক আমিনুল ইসলাম যার ভোটার আইডি ৮৬৭০০৮৫১৩৬ কে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি খুলনার বাসিন্দা বলে জানান। জিল্লুর রহমান ভোটার আইডি ৭৩২০৩০৫৬০৫ নামে আরেকজন তালিকাভুক্ত কৃষকের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি চিলমারী থানার এসআই দিলীপ কুমার রায় বলে পরিচয় দেন। অষ্টমীর চর ইউনিয়নের তালিকাভুক্ত কৃষক আব্দুল মালেক যার ভোটার আইডি নং ১৯২০২০০৯২০০ তার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি রং নাম্বার বলে কেটে দেন।
নয়ারহাট ইউনিয়নের তালিকাভুক্ত কৃষক সাদেক হোসেন যার ভোটার আইডি ৪৬২১৪১৮২৩৭ যোগাযোগ করা হলে তিনি লালমনিরহাট বড়বাড়ী এলাকার বলরাম বলে পরিচয় দেন। একই ভাবে অন্য ইউনিয়নের তালিকাভুক্ত কৃষকদের সাথে যোগাযোগ করা হলে একই অবস্থা দেখা গেছে। এছাড়াও অনেক ফোন নম্বর ব্যবহৃত হচ্ছে বলে জানা যায়।
থানাহাট ইউনিয়নের পূর্বমাচাবান্দা এলাকার আমিনুল ইসলাম বীর বলেন, প্রতিবছরই সরকারিভাবে ধান ক্রয়ের সময় অভিযোগ ওঠে। ধান ক্রয়ের সময় কৃষকরা ধান গুদামে দিতে না পারলেও ভুয়া তালিকায় একটি সিন্ডিকেট চক্র ধান দেয়। অ্যাপসের মাধ্যমে আবেদন প্রক্রিয়া হলে কীভাবে ভুয়া কৃষক অর্ন্তভুক্ত হয় তা খতিয়ে দেখা জরুরি।
এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কুমার প্রণয় বিষাণ দাস বলেন, কৃষকরা অ্যাপসের মাধ্যমে আবেদন করেছিল। আমরা ইউএনও স্যারকে আবেদনকৃত তালিকা সরবরাহ করেছি। তিনি লটারি করেছেন। এ বিষয়ে আমার জানা নেই।
চিলমারী উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা আলাউদ্দিন বসুনিয়া বলেন, এ পর্যন্ত ৬০ মেট্রিক টন ধান সংগ্রহ করা হয়েছে। ধান সংগ্রহের সময় কৃষকের কৃষি কার্ড ও ভোটার আইডি মিলিয়ে ধান নেয়া হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মিনহাজুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি নিয়ে খাদ্য গুদাম কর্মকর্তার সাথে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবো।
উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক (অতি. দা.) হেমন্ত কুমার বর্মনের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেনি।
জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা সাইফুল কবির খান বলেন, কৃষি অফিসের ব্লক সুপার ভাইজার মাঠ পরিদর্শন করে যে তালিকা প্রণয়ন করে সে তালিকা ধরে আমরা ধান ক্রয় করি। এখানে আমাদের কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই।

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

‍এই ক্যাটাগরির ‍আরো সংবাদ