নিজস্ব প্রতিবেদক:-
ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে বরিশাল নগরীর ফরিয়াপট্টির ২৬টি আড়তদারের সাড়ে ৫ হাজার বস্তা চাল ভিজে বিনষ্ট হয়েছে। যার মূল্য প্রায় কোটি টাকা। বুুধবার নগরীর ফরিয়াপট্টি ও বাজার ঘুরে এই চিত্র দেখা গেছে। প্লাবনে ভেজা চাল শুকানো হচ্ছে রোদে। পাশাপাশি শুকনো স্থানে চালের বস্তা ঢেলে ফ্যানের বাতাসে শুকানোর চেষ্টা চলছে।
একাধিক আড়তদার জানান, ৩০-৪০ বছরে এরকম পানি দেখেননি তারা। বন্যার পানিতে নষ্ট হওয়া চাল নগরীর সড়ক ও ভাটারখাল ঈদগাহ ময়দানে রোদে শুকানোর জন্য বিছিয়ে দিয়েছেন। তবে তাতে তেমন কোনো উপকারে আসবে না বলেও জানান তারা। মঙ্গলবার সকাল থেকে বুধবার পর্যন্ত নগরীর বিভিন্ন স্থানে চাল শুকানোর চেষ্টা করতে দেখা গেছে ব্যবসায়ীদের।
হুজ্জাত আলী নেগাবান অ্যান্ড সন্সের মালিক রুবেল বলেন, আমাদের গোডাউনে রাখা সাড়ে ৩০০ বস্তা চাল পুরোপুরি নষ্ট হয়ে গেছে। রোদে শুকিয়েও এই চাল বিক্রি করা সম্ভব নয়। হয়তো কম দামে বিক্রি অথবা গরিবদের মাঝে বিলিয়ে দিতে হবে।
খোকন চন্দ্র ঘোষ ভান্ডারের মালিক সঞ্জয় ঘোষ বলেন, আমাদের গোডাউনে রাখা ৬০০ বস্তা চাল পানিতে ভিজে নষ্ট হয়েছে। খাদ্য ভান্ডারের মালিক স্বপন দত্ত বলেন, আমার কয়েক লাখ টাকার চাল বন্যার পানিতে ডুবে গেছে। লোন নিয়ে ব্যবসা পরিচালনা করছি এই ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে অনেক সময় লাগবে।
এছাড়াও ক্ষতিগ্রস্ত আড়তের মধ্যে রয়েছে মিতালী ট্রেডার্স, মিন্টু ব্রাদার্স, মোল্লা ব্রাদার্স, বাঁধন ট্রেডার্স, বিসমিল্লাহ ভান্ডার, বাংলাদেশ ভান্ডার, গোপাল ভান্ডার ও প্রগতি ট্রেডার্স।
ফরিয়াপট্টি ব্যবসায়ী মালিক সমিতির সভাপতি মুরাদ ও সাধারণ সম্পাদক ফারুক হোসেন বলেন, বরিশালের পাইকারি চাল বিক্রেতাদের অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে। সরকারের পক্ষ থেকে আমাদের ন্যূনতম খোঁজখবর পর্যন্ত নেওয়া হয়নি। উল্লেখ্য, রোববার শুরু ঘূর্ণিঝড় রিমেলের তাণ্ডবে বরিশাল নগরীসহ উপকূলীয় অঞ্চলে জলোচ্ছ্বাস হয়। এতে ডুবে যায় মাছের ঘের, কৃষি জমি ও বহু ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান।
Leave a Reply