আনোয়ার সাঈদ তিতু, কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি:-
কুড়িগ্রামের চিলমারীতে ব্রহ্মপুত্র নদের তীরে কৃষি জমি কেটে অবাধে চলছে রমরমা মাটির ব্যবসা। উপজেলার রাজারভিটা এলাকার প্রভাবশালীরা কাউকে তোয়াক্কা না করে নদের তীর থেকে অবৈধভাবে এসব মাটি কেটে বিক্রি করছে। ফলে নদীতে পানি বৃদ্ধির সাথে সাথে ওই সব এলাকা নদীতে পরিণত হয়ে যাবে বলে এলাকাবাসীর দাবি।
এতে হুমকির মুখে রয়েছে শতকোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত ব্রহ্মপুত্র নদের ডানতীর রক্ষা প্রকল্প, রাজারভিটা ফাজিল মাদ্রাসাসহ তিনটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, বিভিন্ন স্থাপনা ও নদী তীরবর্তি জনপদ এবং আবাদি জমি। প্রতিকার না পেয়ে হতাশ হয়ে পড়েছে রাজারভিটা গ্রামের মানুষ।
শুক্রবার (২৯ ডিসেম্বর) সরেজমিন দেখা গেছে, উপজেলার রাজারভিটা এলাকায় পাউবো বাধের ভিতরে ব্রহ্মপুত্র নদের ডানতীর রক্ষা প্রকল্পের সামনে বিভিন্ন জায়গায় নদীর তীর কেটে সারিবদ্ধ ট্রলিতে মাটি নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। ছবি তুলতে গেলে ট্রাকটর (ট্রলি) নিয়ে পালিয়ে যায় অনেকে। এভাবে মাটি কাটা অব্যাহত থাকায় নদীর তীর সংলগ্ন এলাকাসমুহ নদীর পানির সমান হয়ে যাচ্ছে। এতে সামান্য পানি বৃদ্ধির সাথে সাথে এসব জমি নদীর সাথে মিশে গোটা এলাকা নদীতে পরিণত হবে মর্মে এলাকাবাসীর অভিযোগ।
ট্রলিতে মাটি কাটার ছবি উঠাতে দেখে সেকেন্দার আলী, সাইদুল ইসলাম, মোর্শেদা বেগমসহ বেশ কয়েকজন এগিয়ে এসে বলেন, ‘নদীর এই তীরটি আমাদের গ্রামের প্রটেকশন হিসাবে কাজ করছে এছাড়াও চর পড়ে যাওয়া এই জমিগুলোতে আমরা বিভিন্ন রকম ফসল উৎপাদন করছিলাম।’
এভাবে তীর থেকে মাটি কেটে নিলে নদীর ভাঙ্গন তীব্র আকার ধারণসহ হুমকির মুখে পড়বে শতকোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত ব্রহ্মপুত্রের ডানতীর রক্ষা প্রকল্প, বিভিন্ন স্থাপনাসহ নদী তীরবর্তি জনপদ ও সরকার ঘোষিত নৌ-বন্দর পুনঃস্থাপনের পরিকল্পনা।
এছাড়াও গ্রামের ভিতর দিয়ে সারাদিন গাড়ি চলায় রাস্তা ভেঙ্গে যাওয়াসহ ঘটছে বিভিন্ন রকমের দুর্ঘটনা। এলাকাবাসী মাটি কাটা প্রতিরোধ কল্পে বিভিন্ন দপ্তরে আবেদন করেও প্রতিকার না পেয়ে হতাশ হয়ে পড়েছে রাজারভিটা গ্রামের মানুষ।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মিনহাজুল ইসলাম জানান, বিষয়টি আমার জানা ছিল না খোঁজ নিয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
Leave a Reply