1. lakituli@gmail.com : admin : Engr. Md. Lakitul Islam
  2. lakitul.umec@gmail.com : Sarder Alamin : Alamin Sarder
সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:০১ অপরাহ্ন
নোটিশ :
বিভিন্ন জেলা,উপজেলা-থানা,পৈারসভা,কলেজ ও ইউনিয়ন পর্যায় সংবাদকর্মী আবশ্যক ।
সংবাদ শিরনাম :
কুড়িগ্রামে উপজেলা আ.লীগ নেতা গ্রেফতার ‘বন্ধু’ সংগঠনের সৌজন্যে শীতবস্ত্র পেলো ৫ শতাধিক শীতার্ত কুড়িগ্রামে ডিজেল পাচার কালে আটক ২ ভারতে অনুপ্রবেশের সময় বিজিবি কর্তৃক যুবক আটক নেত্রকোনা বারহাট্টয় যুবপুরামের উদ্যোগে হুইসেল ব্লোয়ারদের অন্তর্ভুক্তি সভা অনুষ্ঠিত ব্রহ্মপুত্রের ভাঙ্গন ঠেকাতে স্থায়ী ব্যবস্থার দাবিতে নদীতীরে মানববন্ধন মেয়াদোত্তীর্ণ কীটনাশক বিক্রয়ের দায়ে ৩ দোকানিকে জরিমানা দোকান উচ্ছেদের নামে হামলা, লুটপাটের ঘটনায় ব্যবসায়ীদের মানববন্ধন কুড়িগ্রামে বিনামূল্যে উচ্চ ফলনশীল ব্রি-১০০ ধানবীজ বিতরণ কুড়িগ্রামে পিলখানা হত্যা ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের দাবিতে মানববন্ধন

কুড়িগ্রামে আগাম সরিষার হলুদ ফুলে ফসলি মাঠ

  • প্রকাশিত : সোমবার, ১১ ডিসেম্বর, ২০২৩
ছবি লোডিং
ছবি: সরিষার হলুদ ফুলে ফসলি মাঠ কুড়িগ্রাম

এ. কে. এম. আনোয়ার সাঈদ তিতু, কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধি:

কুড়িগ্রামের উলিপুরে আগাম জাতের সরিষা চাষে ফুলে ফুলে ভরে গেছে ক্ষেত । বাম্পার ফলন ও দ্বিগুণ লাভের আশা করছেন সরিষা চাষিরা । দিগন্ত জোড়া মাঠ যেন রঙিন রুপে সজ্জিত । ইতোমধ্যে কৃষকের স্বপ্ন বুননসহ হলুদ ফুলে সেজেছে সরিষা চাষের জমি এবং সে জমিতে মৌ মৌ গন্ধে চতুর্দিক ছড়িয়ে পড়ছে । পথচারিরা সে গন্ধে মুগ্ধ হচ্ছেন এবং মৌ মাছিরাও মধু সংগ্রহ করতে ব্যস্ত হয়ে পড়ছে । গত বছর সরিষার ভালো দাম পাওয়ায় এবারও সরিষা চাষে আগ্রহী হয়েছেন চাষিরা । আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এ বছরও লাভবান হবে বলে আশা করছেন কৃষকেরা ।

 

উপজেলা কৃষি অফিস সুত্রে জানা গেছে, গত অর্থ বছরে ৮’শ ৬০ হেক্টর জমিতে সরিষা চাষ হয়েছিলো এবং কৃষক কিছুটা লাভবান হয়েছিলো । চলতি অর্থ বছরে ১ হাজার ৯’শ ৩০ হেক্টর জমি সরিষা চাষের জন্য নির্ধারাণ করা হয়েছে । এখন পর্যন্ত অর্জিত হয়েছে ১ হাজার ৪ শত ৬৫ হেক্টর যা চলমান রয়েছে । প্রতি হেক্টরে উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১.৫৭ টন। মোট উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৩ হাজার ৩০ মেট্রিকটন । এখানে প্রদর্শনীও রয়েছে । এ উপজেলায় ব্রহ্মপুত্র নদ ও তিস্তা নদী বেষ্টিত হওয়ায় প্রতি বছরই প্রান্তিক পর্যায়ের কৃষক কোনো কোনো ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন । সে দিকটি বিবেচনা করে কৃষি অধিদপ্তর সারা দেশের ন্যায় এ উপজেলার ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের প্রণোদনা স্বরুপ ৪ হাজার ৯’শ ৮০ জন কৃষকদের প্রতিজনের জন্য ৩৩ শতক জমি নির্ধারণে বিনামূল্যে সার ও বীজ বিতরণ করা হয়েছে ।

 

সরেজমিন উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, ফসলের মাঠগুলো সরিষা ফুলের হলুদ রঙে অপরূপ শোভা ধারণ করেছে । মাঠে পরিচর্যার কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকেরা । ধান বা অন্য ফসলের তুলনায় লাভজনক হওয়ায় কৃষকরা দিন দিন সরিষা চাষে ঝুঁকে পড়ছে । স্থানীয় সরিষা চাষিরা জানান, উঁচু জমি সরিষা চাষের জন্য উপযুক্ত । প্রথমে হালকাভাবে চাষ করে সরিষার বীজ বপন করতে হয়। পরে দু-এক বার কিছু ওষুধ ও কীটনাশক দিলেই সহজে ফলন ভাল হয় । তুলনামূলক কম পরিশ্রম ও বর্তমানে সরিষার বাজার মূল্য বেশি হওয়ায় দিন দিন সরিষা চাষে আগ্রহ বাড়ছে এ অঞ্চলের কৃষকদের । এ অঞ্চলের কৃষকেরা বরাবর বোরো ও আমন এই দুটি ধান চাষেই বেশি আগ্রহী কিন্তু সমসাময়িক সময়ে উৎপাদনের সাথে ব্যয়ভার বেড়ে যাওয়ায় নতুন নতুন উৎপাদনে আগ্রহী হয়ে উঠছেন । বিগত বছরগুলোতে যে যৎ সামান্য সরিষা চাষ হতো তা ব্রহ্মপুত্র নদ ও তিস্তা নদীর বুকের উপর জেগে ওঠা চরের উপর হতো । এ বছর সর্ব পর্যায়ের জমিতেই সরিষার চাষ লক্ষ্য করা যাচ্ছে । আবহাওয়া নিয়ন্ত্রণে থাকলে সরিষার বাম্পার ফলন হবে এমনটাই আশা করছে এ অঞ্চলের কৃষক ।

 

উপজেলার থেতরাই ইউনিয়নের হারুনেফড়া গ্রামের আদর্শ কৃষক আশরাফ আলী খন্দকার জানান, তিনি ৮৫ শতক জমিতে সরিষার চাষ করেছেন । এ পর্যন্ত খরচ হয়েছে প্রায় ৪ হাজার টাকা । কাটা মাড়াই সহ আরও খরচ হবে প্রায় ৪ হাজার টাকা। ফসল ঘরে উঠানো পর্যন্ত মোট খরচ হবে ৮ হাজার টাকা । তিনি ১০ মণ সরিষার আশা করছেন । বাজারদর মণ প্রতি ৩ হাজার টাকা হলে মোট ৩০ হাজার টাকা আশা করছেন । তিনি আরও বলেন, একই জমিতে আমনের ফসল ঘরে উঠিয়ে সেখানে সরিষার চাষ করে তার ফলনও ঘরে উঠিয়ে সেখানে বোরোধান চাষ করব । একই জমিতে তিন চাষ । সরিষা চাষে অল্প খরচে অল্প সময়ে দ্বিগুণ লাভ করা যায় বলে জানান তিনি । এছাড়া অন্যান্য এলাকার সরিষা চাষিদের মধ্যে মহশিন মিয়া, মাহাতাব আলী, আবু মিয়া ও খতিব মিয়া সহ আরও অনেকে একই কথা জানান ।

 

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ও কৃষিবিদ মোশারফ হোসেন বলেন, আবহাওয়া আর যথাযথ পরিচর্যার কারণে এবার সরিষার বাম্পার ফলন হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে । পুনর্বাসন ও প্রণোদনার আওতায় আমরা ৪৯৮০ জন ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষককে বীজ ও সার সরবরাহ করেছি । উপজেলা কৃষি অফিস থেকে সার্বক্ষণিক ভাবে মাঠে সরিষা চাষিদের বিভিন্ন ধরনের রোগ বালাই ও পোকামাকড় দমন সম্পর্কে পরামর্শ দিয়ে আসছেন । তিনি আরও বলেন, আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে সরিষার ফলন অনেক ভালো হবে । সরিষার বাজার আশানুরূপ থাকলে সরিষা চাষিরা অনেক লাভবান হবে বলে জানান তিনি ।

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

‍এই ক্যাটাগরির ‍আরো সংবাদ