দৈনিক কলম অনলাইন ডেস্ক: বাংলাদেশের জনগণের স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থা আরও সহজতর করতে উন্নত দেশের ন্যায় এবার বাংলাদেশেও শুরু হতে যাচ্ছে হেলথ আইডি সম্বলিত হেলথ কার্ড। প্রাথমিকভাবে দেশের সরকারি স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠান ও হাসপাতালগুলোকে এ সুবিধার আওতায় আনা হবে। পরবর্তীতে বেসরকারি হাসপাতালও ‘হেলথ কার্ড’র আওতায় আসবে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর। জাতীয়পরিচয়পত্রে ব্যক্তিগত তথ্যের ন্যায়, এই কার্ডে থাকবে আপনার স্বাস্থ্যসেবা তথ্য। প্রথম ধাপে ঢাকা, গোপালগঞ্জ ও মানিকগঞ্জের মোট আট প্রতিষ্ঠানে পরীক্ষামূলকভাবে এই কার্যক্রম চলবে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের জন্য ব্যবহারযোগ্য এবং শেয়ারড হেলথ রেকর্ডের সঙ্গে সংযুক্ত করার লক্ষ্যে উপযুক্ত একটি সফটওয়্যার তৈরিতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর কাজ করছে। যেকোনো অনুমোদিত বেসরকারি হাসপাতাল স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সঙ্গে যোগাযোগ করে প্রয়োজনীয় আইডি ও পাসওয়ার্ড সংগ্রহ করবে এরপর সফটওয়্যারটি নিজস্ব সার্ভারে ইন্সটল করে প্রয়োজন মতো পরিবর্তন/পরিবর্ধন করে ব্যবহার করা যাবে। তবে অবশ্যই সেসব স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠান ও হাসপাতালের স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অনুমোদন থাকতে হবে।
যেভাবে পাওয়া যাবে হেলথ কার্ড?
সরকার খুব শীঘ্রই স্বাস্থ্য কার্ডের জন্য একটি বিশেষ ওয়েবসাইটের যাত্রা শুরু করবে। যেখানে রোগীরা যে কোন সময় যে কোন জায়গা থেকে অনলাইনে নিবন্ধনের মাধ্যমে স্বাস্থ্য কার্ড পেয়ে যেতে পারবেন।
এছাড়া খুব শিগগিরই দেশের অন্যান্য সব সরকারি স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠান এবং হাসপাতালে শুরু হবে এই ডিজিটাল পদ্ধতি। বেসরকারি স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠান ও হাসাপাতালগুলোও দ্রুত সময়ের মধ্যে এই ডিজিটাল পদ্ধতির আওতাভুক্ত হবে।
কেন এই হেলথ কার্ড?
১। বাংলাদেশের হাসপাতাল ও স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানকে অটোমেশনের আওতাভুক্ত করা।
২। ‘শেয়ারড হেলথ রেকর্ড’এর মাধ্যমে সকল প্রতিষ্ঠান কেন্দ্রীয় ভাবে সংযুক্তিকরণ।
৩। বাংলাদেশের প্রত্যেক নাগরিকের থাকবে নিজস্ব ‘হেলথ আইডি’ নম্বর।
৪। সুনির্দিষ্টভাবে রোগ নির্ণয় করা
৫। চিকিৎসাসেবার গুণগত মান বৃদ্ধি
৬। নাগরিকদের অর্থ ও সময় সাশ্রয়
৭। চিকিৎসা ব্যবস্থা আরও সুশৃঙ্খল
৮। সর্বজনীন স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা।
কী থাকবে এই কার্ডে?
১। রোগীদের জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত সকল স্বাস্থ্য সেবার তথ্য সংরক্ষিত থাকবে এই ডিজিটাল ডাটাবেজে
২। পূর্বের চিকিৎসা এবং পরীক্ষা-নীরিক্ষার কাগজ হারানোর ভয় থাকবে না।
৩। রোগীর বহন করে নিতে হবে না কোন কাগজ। অনলাইনেই থাকবে সব তথ্য।
৪। শুধু হেলথ কার্ডের বদৌলতেই আপনি পেয়ে যাবেন আপনার প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যসেবা।
৫। সকল পরীক্ষা-নিরীক্ষার রিপোর্ট চলে যাবে আপনার ইমেইল এড্রেসে।
৬। অনলাইনে ঘরে বসেই রোগীরা হাসপাতালে এপয়েন্টমেন্ট নিতে পারবেন।
যারা অনলাইনে নিজে নিবন্ধন করতে পারবেন না তারা ?
চিকিৎসা গ্রহণকালে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর অনুমোদিত যে কোন সরকারি-বেসরকারি স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠান ও হাসপাতালে গিয়ে আপনার জাতীয় পরিচয় পত্র কিংবা জন্ম নিবন্ধন পত্র দেখালেই, উক্ত প্রতিষ্ঠানের নির্ধারিত রেজিস্ট্রেশন কাউনটার কিংবা বুথে গেলেই স্বল্প সময়ের মধ্যে আপনার কার্ডটি তৈরি করতে সাহায্য করবে তারা।
কী কী লাগবে এই কার্ড পেতে?
১। ১৮ বছর বয়সের ঊর্ধ্বে- তাদের লাগবে শুধু জাতীয়পরিচয়পত্র
২। ১৮ বছর বয়স নিম্নে- তাদের লাগছে জন্মনিবন্ধন পত্র।
Leave a Reply