আল আমিন গাজী :: গত (১৩ই অক্টোবর ) রাত আনুমানিক সাড়ে ১২টার সময় বাংলাদেশ কোস্টগার্ড ও উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা কতৃক যৌথ অভিযানে হিজলার উপজেলার মেঘনা নদীর খলিশপুর এলাকা থেকে ৪টি দেশীয় রামদা , ২টি দা, ৭টি মোবাইল ফোন ও ডাকাতির নানা মালামাল সহ ১০ ডাকাত সদস্যকে আটক করা হয় ।
আজ (১৪ই অক্টোবর ) বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড দক্ষিন জোনের মিডিয়া কর্মকর্তা লে. এস এম তাহসিন রহমান বরিশাল নিউজ২৪কে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, প্রতিদিনের মত বাংলাদেশ কোস্টগার্ড বিসিজি স্টেশান হিজলা মা ইলিশ সংরক্ষন অভিযান পরিচালনা করছেন। এমন সময় অন্যদিক থেকে আসা মেঘনা নদীর খলিশপুর এলাকায় একটি ইঞ্জিন চালিত কাঠের নৌকায় করে ডাকাতি করার প্রস্তুতি নেয় ডাকাত দল । পরে কোস্টগার্ডের সদস্যরা তাদের পথরোধ করেন । পরবর্তীতে তল্লাশি করে তাদের কাছ থেকে ৪টি দেশীয় রামদা ,২টি দেশীয় দা ,৭টি মোবাইল ফোন, ১টি টর্চ লাইটসহ তাদের ১০ জনকে আটক করা হয়।
তিনি আরো বলেন, গত কয়েক মাস ধরে একটি ডাকাত দল হিজলাসহ বিভিন্ন এলাকায় বসবাসরত স্থানীয়দের ওপর অত্যাচার চালিয়ে আসছিল। তাদেরকে ধরার জন্য কোস্টগার্ড সব সময়ই তৎপর ছিলেন । সেই সূত্র ধরেই অভিযানে তাদের আটক করতে সক্ষম হয়েছে কোস্টগার্ড। বাংলাদেশ কোস্ট গার্ডের এখতিয়ারভুক্ত এলাকাসমূহে আইন শৃঙ্খলা ও মাদক নিয়ন্ত্রণ এবং জননিরাপত্তার পাশাপাশি জলদস্যুতা, বন-দস্যুতা ও ডাকাতি দমনে কোস্ট গার্ডের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
আটককৃতদের জব্দকৃত মালামাল সহ হিজলা থানায় হস্তান্তর করা হয় ও তাদের বিরুদ্ধে মামলা রুজু হয়েছে বলে জানান।
উল্লেখ,বাংলাদেশের জলসীমায় কোস্টগার্ড সক্রিয় উপস্থিতি ও সম্পদের যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিতকরনের মাধ্যমে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে বিশেষ সহায়তা প্রদানের লক্ষ্যে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ডের শুভ সূচনা হয়। বঙ্গোপসাগর বিধৌত নদী-মাতৃক বাংলাদেশের অর্থ-সামাজিক ব্যবস্থার উন্নয়ন বিভিন্ন নদ-নদী এবং বিশাল সমুদ্রের নিজস্ব এলাকা ব্যবহারের মধ্যে নিহিত। কোস্ট গার্ড এ্যাক্ট ১৯৯৪” মহান জাতীয় সংসদে পাশ করার মাধ্যমে বাংলাদেশ কোস্টগার্ড গঠন করা হয় এবং ১৯৯৫ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারী একটি আধা সামরিক বাহিনী হিসাবে বাংলাদেশ কোস্টগার্ড যাত্রা শুরু করে। প্রতিষ্ঠা লগ্ন হতে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড বাংলাদেশের সমুদ্র সীমানা, তৎসংলগ্ন উপকূলীয় অঞ্চল এবং বিভিন্ন নদ নদীতে অত্যন্ত নিষ্ঠার সাথে অর্পিত দায়িত্ব পালন করে আসছে । তা ছাড়া দেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ চট্টগ্রাম এবং মংলা সমুদ্র বন্দরে আগত বিদেশী ও দেশী জাহাজসমূহের নিরাপত্তা প্রদান, সুবিশাল সুন্দরবনের পর্যটক, মৌয়াল, চিংড়ি চাষী, মাঝি ও অন্যান্য জনগনের নিরাপত্তা প্রদান করে কোস্ট গার্ড দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছে। বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড জম্মলগ্ন থেকে জলোচ্ছ্বাস, ঘূণিঝড়, সুনামি ও দূর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় উপকূলীয় জনগনকে সার্বিক সহায়তা এবং ত্রাণ ও উদ্ধার অভিযানে অংশ গ্রহণ করে সর্বমহলে প্রশংশিত হয়েছে। তাই জাতীয় ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে কোস্টগাডের অবদান অর্পীসীম। মানব পাচার রোধ ও মাদকদ্রব্য, অবৈধ অস্ত্র পাচার রোধ ও মাদকদ্রব্য, অবৈধ অস্ত্র পাচার ও বিশেষ করে ইলিশ রক্ষায় কঠোর ভূমিকা রাখেন বাঙলাদেশ কোস্টগার্ড ।
Leave a Reply