আনোয়ার সাঈদ তিতু, কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধি:-
বৃহস্পতিবার, ০৫ জুন ২০২৫ ইং ০১:০১ পিএম.
কুড়িগ্রাম জেলার নাগেশ্বরী উপজেলার সন্তোষপুর ইউনিয়নে অভিযান চালিয়ে সাত মেট্রিক টন সরকারি ভিজিএফের চাল উদ্ধার করা হয়েছে।
বুধবার (০৪ জুন) সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও), প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা, সেনাবাহিনী ও পুলিশ ইউনিয়ন পরিষদের আশপাশের বিভিন্ন গুদামে অভিযান চালায়। পরে উদ্ধারকৃত চাল রাতেই পুলিশ হেফাজতে রাখা হয়।
জানা গেছে, ঈদুল আজহা উপলক্ষে ওই ইউনিয়নের সাত হাজার ৯৬৯ দুস্থ মানুষের মাঝে ১০ কেজি করে চাল বিতরণের জন্য ভিজিএফ প্রকল্পের প্রায় ৮০ টন চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়। বুধবার এসব চাল বিতরণ করা হচ্ছিলো।
কিন্তু অতি দরিদ্রদের জন্য বরাদ্দ দেওয়া এসব চালের ১০ কেজি করে স্লিপ ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করেন ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্যরা। ব্যবসায়ীরা সে সব স্লিপে চাল উত্তোলন করে পরিষদের আশপাশের বিভিন্ন গুদামে মজুদ করেন। স্থানীয়রা বিষয়টি প্রশাসন ও সেনাবাহিনীকে জানালে বিকেলে প্রশাসন ও থানা পুলিশকে নিয়ে অভিযান চালায় সেনাবাহিনী।
এসময় অভিযুক্ত সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদের স্টোরম্যান ও চাল বিতরণের সঙ্গে নিয়োজিত ইউপি সদস্যরা পালিয়ে যায়। পরে ইউনিয়ন পরিষদের পার্শ্ববর্তী বাজারের বিভিন্ন দোকানের গোডাউন থেকে দুস্থ মানুষের মধ্যে বিতরণকৃত খাদ্য অধিদপ্তরের সিলসম্বলিত কিছু বস্থাসহ প্রায় ২০০ বস্তা চাল জব্দ করা হয়।
স্থানীয়রা জানান, সন্তোষপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান লিয়াকত আলী লাকু গত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশ নিতে চেয়ারম্যান পদ থেকে পদত্যাগ করলে ওই ইউনিয়নের সদস্য যুবলীগ নেতা জাহাঙ্গীর আলমকে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্ব দেওয়া হয়। নাগেশ্বরী থানা পুলিশ তাকে গ্রেফতার করলে আরেক ইউপি সদস্য মোস্তফা জামানকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। ফ্যাসিস্টের দোসর অভিযোগে তাকেও গ্রেফতার করে পুলিশ। সবশেষ গত ১২ নভেম্বর ওই ইউনিয়নের ৭, ৮ ও ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সংরক্ষিত মহিলা সদস্য খাদিজা বেগমকে চেয়ারম্যানের দায়িত্ব দেওয়া হয়। খাদিজা বেগমের তত্ত্বাবধানে এসব চাল বিতরণ চলছিল।
ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান খাদিজা বেগম বলেন, পরিষদে ঠিক মতো চাল বিতরণ করা হয়েছে। বাইরে ইউপি সদস্য কী করেছেন আমি তা জানি না।
নাগেশ্বরী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোঃ সিব্বির আহমেদ জানান, প্রায় ২০০ বস্তা চাল উদ্ধার করা হয়েছে। সেগুলো থানায় নেওয়া হয়েছে। নিয়মিত মামলা হবে। তদন্ত করে সম্পৃক্ত দোষীদের আইনের আওতায় আনা হবে।
Leave a Reply