1. lakituli@gmail.com : admin : Engr. Md. Lakitul Islam
  2. lakitul.umec@gmail.com : Sarder Alamin : Alamin Sarder
শুক্রবার, ০৬ জুন ২০২৫, ০৫:৩৫ অপরাহ্ন
নোটিশ :
বিভিন্ন জেলা,উপজেলা-থানা,পৈারসভা,কলেজ ও ইউনিয়ন পর্যায় সংবাদকর্মী আবশ্যক ।
সংবাদ শিরনাম :
কোরবানির ঈদে ব্যস্ত সময় পার করছে কুড়িগ্রামের কামারেরা বৃষ্টি আর উজানী ঢলে ৩০০ হেক্টর জমির প্রায় সাড়ে ৩ কোটি টাকার ফসলের ক্ষতি কুড়িগ্রামে নববধূর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার, স্বামী গ্রেফতার কুড়িগ্রামের রৌমারী ঘাটে দেরিতে নৌকা ছাড়ায় সংঘর্ষে আহত ৫ ঈদুল আজহায় ফেরি সুবিধা বঞ্চিত ব্রহ্মপুত্র পাড়ি দেয়া যাত্রীরা কুড়িগ্রামে দুস্থদের চাল বিক্রি, সেনাবাহিনীর হস্তক্ষেপে উদ্ধার ঈদুল আজহার ১০ দিন বন্ধ সোনাহাট স্থলবন্দর অবশেষে সেনাবাহিনীর হস্তক্ষেপে স্কুল থেকে পশুর হাট সরালেন বিএনপি নেত্রী ডিজিটাল পদ্ধতিতে বন্যার পূর্বাভাস কাজে আসছে না প্রান্তিক কৃষকের ব্রহ্মপুত্রের ভাঙনে বিলীন ৫০ ভিটেবাড়ি, হুমকিতে ফসলি জমি

কেজিতে বিক্রি হচ্ছে কুড়িগ্রামের খামারে গরু-ছাগল

  • প্রকাশিত : সোমবার, ২ জুন, ২০২৫
ছবি লোড হচ্ছে...........
আনোয়ার সাঈদ তিতু, কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধি:-
সোমবার, ০২ জুন ২০২৫ ইং ০৭:০০ পিএম.
ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে কুড়িগ্রামে কেজিতে বিক্রি হচ্ছে গরু-ছাগল। ব্যস্ত সময় পার করছেন খামারিরা। সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক খাবার ও দেশীয় পদ্ধতিতে গরু লালন-পালন এবং মোটাতাজা করছেন জেলার খামারিরা। শেষ মুহূর্তেও পশুর পরিচর্যায় ব্যস্ত তারা। গরু-মহিষ ছাগলসহ বিভিন্ন প্রজাতির কোরবানির পশু মোটাতাজা বা হৃষ্টপুষ্ট করা হয়েছে। যা স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্নস্থানে সরবরাহ করছেন খামারিরা।
ঈদুল আজহার কোরবানির জন্য এবারে কুড়িগ্রাম জেলার ৯ উপজেলায় প্রাণিসম্পদ বিভাগের পরামর্শ ও তত্ত্বাবধানে ৫ শতাধিক ছোট-বড় খামারে ১ লাখ ৩০ হাজার ৭৪২টি গরু আর ১ লাখ ৫৫ হাজার ছাগল ও ভেড়া কোরবানির জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে। জেলায় এ বছর কোরবানির জন্য চাহিদা রয়েছে ১ লাখ ৭২ হাজার পশুর। উদ্বৃত্ত থাকবে ৫৭ হাজার পশু। বর্তমান বাজারে পশু খাদ্যের দাম বেড়েছে, তাই বাড়তি দামে পশু বিক্রয় করছেন খামারিরা। যদি কম দামে বিক্রয় করে তাহলে লোকসান গুণতে হবে, হারাতে হবে পুঁজিও। আবার অনেক খামারে কাজ করে অনেকের কর্মসংস্থান  সৃষ্টি হচ্ছে। দিন-রাত পরিচর্যা করে কোরবানির পশুর হাটে পশুগুলো তুলতে শেষ মুহূর্তে ব্যস্ত সময় পার করছেন তারাও। কোনো ক্ষতিকর ও ভেজাল খাদ্য ছাড়া দেশীয় পদ্ধতিতে খাবার খাইয়ে গরু মোটাতাজা বা হৃষ্টপুষ্ট করা হচ্ছে। এছাড়া কোরবানির পশু বেচা-কেনার জন্য এ বছর স্থানীয় প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে জেলায় স্থায়ী ও অস্থায়ীভাবে ২৯টি পশুর হাটের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার ত্রিমোহনী এলাকার অ্যাপোলো ইন্টিগ্রেটেড এগ্রো ফার্মের শ্রমিক নুর হোসেন (৫০), আজাদ মিয়া (৪০), হানিফ মিয়াসহ (৬০) অনেকেই বলেন, আমাদের খামারে গরু-ছাগল রোগমুক্ত। মানুষের শরীরে যাতে কোনো ক্ষতি না হয় সেই সব খাবার গরু-ছাগলকে আমরা দেই। প্রতিনিয়ত ঘাস, ভুট্টা, খড়সহ ন্যাচারাল খাবার দেই। এভাবেই আমরা প্রতি কোরবানি ঈদের জন্য গরু প্রস্তুত করে থাকি।
অ্যাপোলো ইন্টিগ্রেটেড এগ্রো ফার্মের পরিচালক  লতিফুর রহমান আনন্দ বলেন, আমাদের ফার্মে একশ গরু আছে। এছাড়া ছাগল আছে এখানে লাইভ ওয়েটে গরু ও ছাগল বিক্রি করা হয়। প্রতি কেজি গরু ৪৫০ টাকা। আর ছাগল ৫৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করি। লাইফ ওয়েটে কিনলে ক্রেতা অনেক লাভবান হবে।
খামারে আসা আনিছুর রহমান (৬০) বলেন গরু কেজিতে  কিনতে এসেছি। বাজারে গেলে দালালের খপ্পরে পড়তে হয়। এখানে দেখে শুনে কমদামে ভালো গরু পাওয়া যায়।
কুড়িগ্রাম জেলার চিলমারী উপজেলার  রমনা মডেল ইউনিয়নের জোড়গাছ এলাকার আমজাদ হোসেন (৫৫) বলেন, এক বছর আগে ৭০ হাজার টাকা দিয়ে ছোট গরুর বাছুরে কিনে লালন-পালন করছি এখন বড় গেছে। প্রায় দুই লাখ টাকায় বাজারে বিক্রি করতে পারবে।
কুড়িগ্রাম জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা হাবিবুর রহমান বলেন, এ বছর কোরবানির জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে ১ লাখ ৩০ হাজার ৭৪২টি গরু আর ছাগল ১ লাখ ৫৫ হাজার। এবার জেলার চাহিদা রয়েছে ১ লাখ ৭২ হাজার।  যা চাহিদা পূরণ করে অন্য জেলায় চলে যাবে।

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

‍এই ক্যাটাগরির ‍আরো সংবাদ