1. lakituli@gmail.com : admin : Engr. Md. Lakitul Islam
  2. lakitul.umec@gmail.com : Sarder Alamin : Alamin Sarder
সোমবার, ০২ জুন ২০২৫, ০২:৪৯ পূর্বাহ্ন
নোটিশ :
বিভিন্ন জেলা,উপজেলা-থানা,পৈারসভা,কলেজ ও ইউনিয়ন পর্যায় সংবাদকর্মী আবশ্যক ।
সংবাদ শিরনাম :
কুড়িগ্রামের চিলমারীতে ধর্ষণ মামলার আসামী গ্রেফতার কুড়িগ্রামে প্রেস‌ক্রিপশন হাতে ট্রেনে কাটা পড়ে সাবেক বিজি‌বি সদস্যের রহস্যজনক মৃত্যু কুড়িগ্রামে তলিয়েছে বাদাম ক্ষেত, তলিয়েছে কৃষকের স্বপ্ন ঐতিহাসিক বড়াইবাড়ি সীমান্তে ফের ভারতীয় ড্রোন, আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন দেশের সীমানায় ভারতীয় ড্রোন, রাতভর পাহারায় পুশইন ঠেকানো চাঁপাইনবাবগঞ্জে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৪৪ তম শাহাদাত বার্ষিকী পালিত লঘুচাপের প্রভাবে দিনভর কুড়িগ্রামে দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি কুড়িগ্রামে কোরবানির জন্য প্রস্তুত পোঁনে দুই লাখ পশু বরিশালের নগরীর নতুল্লাবাদ ব্রিজ সংলগ্ন রোড ডিভাইডারের সাথে বাসের ধাক্কায় দূর্ঘটনা কুড়িগ্রাম সীমান্তে মধ্যেরাতে আবারও বিএসএফের পুশইন ৯

হাত নেই, পা দিয়ে লিখে বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধা তালিকায় কুড়িগ্রামের মানিক

  • প্রকাশিত : সোমবার, ১২ মে, ২০২৫
ছবি লোড হচ্ছে...........
আনোয়ার সাঈদ তিতু, কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধি:-
রোববার, ১১ মে ২০২৫ ইং ১১:১১ পিএম.
এসএসসি ও এইচএসসিতে গোল্ডেন জিপিএ-৫ পাওয়ার পর এবার হাজী মুহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (হাবিপ্রবি) ভর্তি পরীক্ষায় ‘বি’ ইউনিটে মেধা তালিকায় ১৯২তম স্থান অধিকার করেছেন পা দিয়ে লিখে পরীক্ষা দেওয়া শারীরিক প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থী মানিক রহমান।
রোববার (১১ মে) ফলাফল প্রকাশিত হলে মানিকের এই সাফল্যে মা-বাবা, আত্মীয়-স্বজন ও প্রতিবেশীরা উচ্ছ্বাসে মেতে ওঠেন।
এর আগে, মানিক ২০২২ সালে কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী জছি মিঞা মডেল সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি এবং ২০২৪ সালে নীলফামারী জেলার সৈয়দপুর সরকারি বিজ্ঞান কলেজের বিজ্ঞান বিভাগ থেকে এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে গোল্ডেন জিপিএ ৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হন।
মানিক রহমানের বাড়ি কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার সদর ইউনিয়নের চন্দ্রখানা গ্রামের ব্যবসায়ী মিজানুর রহমান ও সহকারী অধ্যাপক মরিয়ম বেগমের বড় ছেলে। শুধু এসএসসি ও এইচএসসিতে নয় বাবা-মা ও শিক্ষকদের অনুপ্রেরণায় নিজের আত্মবিশ্বাস ও মনোবলকে কাজে লাগিয়ে পিইসি পরীক্ষায়ও গোল্ডেন জিপিএ-৫ সহ ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি এবং জেএসসিতেও গোল্ডেন জিপিএ-৫ পেয়ে সবার মুখ উজ্জ্বল করেছিলেন মানিক। এ ছাড়া পা দিয়ে মোবাইল চালানো এবং কম্পিউটার টাইপিংয়েও পারদর্শী তিনি। তাই বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে ভবিষ্যতে একজন দক্ষ কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার স্বপ্ন তার। কঠোর পরিশ্রম আর অধ্যাবসায়ের কারণে অবশেষে তার ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার স্বপ্ন পূরণের দ্বার উন্মোচিত হলো।
মানিকের বাবা মো. মিজানুর রহমান ও মা মরিয়ম বেগম বলেন, আমাদের দুই ছেলের মধ্যে মানিক বড়। ছোট ছেলে মাহীম নবম শ্রেণিতে পড়ে। মানিক জন্ম থেকেই শারীরিক প্রতিবন্ধী। তার দুটি হাত নেই, একটি পা অন্যটার চেয়ে অনেকাংশে খাটো। তবু প্রতিবন্ধী হলেও আমরা তাকে প্রতিবন্ধী মনে করি না। হাত না থাকায় ছোট বেলা থেকেই আমরা তাকে পা দিয়ে লেখার অভ্যাস করিয়েছি। পা দিয়ে লিখলেও তার লেখা অনেক সুন্দর এবং পড়াশোনায় সে খুবই ভালো। সবার দোয়ায় আজ তার কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার স্বপ্নের দ্বার উন্মোচিত হলো। সবার কাছে আমরা দোয়া চাই, সে যেন একজন দক্ষ ইঞ্জিনিয়ার হতে পারে।
স্থানীয় আমিনুল ইসলাম বলেন, মানিক রহমান আমাদের ফুলবাড়ির গর্ব আমি চাই, সে বড় ইঞ্জিনিয়ার হোক। আমি শিক্ষার্থীদেরকে বলবো, লেখাপড়া করতে হবে, লেখাপড়ার বিকল্প নেই।
শিক্ষার্থী মানিক রহমান বলেন, আমার দুটি হাত না থাকলেও আল্লাহর অশেষ রহমত, বাবা মা ও শিক্ষকদের দোয়া এবং অনুপ্রেরণায় আমি পিইসি থেকে এইচএসসি পর্যন্ত সব পরীক্ষায় গোল্ডেন জিপিএ-৫ পেয়েছি। এ বছর হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘বি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে মেধা তালিকায় ১৯২তম স্থান অধিকার করেছি। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন, আমি যেন একজন দক্ষ কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার হতে পারি।

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

‍এই ক্যাটাগরির ‍আরো সংবাদ