1. lakituli@gmail.com : admin : Engr. Md. Lakitul Islam
  2. lakitul.umec@gmail.com : Sarder Alamin : Alamin Sarder
শনিবার, ০৭ জুন ২০২৫, ০২:৫৪ পূর্বাহ্ন
নোটিশ :
বিভিন্ন জেলা,উপজেলা-থানা,পৈারসভা,কলেজ ও ইউনিয়ন পর্যায় সংবাদকর্মী আবশ্যক ।
সংবাদ শিরনাম :
কোরবানির ঈদে ব্যস্ত সময় পার করছে কুড়িগ্রামের কামারেরা বৃষ্টি আর উজানী ঢলে ৩০০ হেক্টর জমির প্রায় সাড়ে ৩ কোটি টাকার ফসলের ক্ষতি কুড়িগ্রামে নববধূর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার, স্বামী গ্রেফতার কুড়িগ্রামের রৌমারী ঘাটে দেরিতে নৌকা ছাড়ায় সংঘর্ষে আহত ৫ ঈদুল আজহায় ফেরি সুবিধা বঞ্চিত ব্রহ্মপুত্র পাড়ি দেয়া যাত্রীরা কুড়িগ্রামে দুস্থদের চাল বিক্রি, সেনাবাহিনীর হস্তক্ষেপে উদ্ধার ঈদুল আজহার ১০ দিন বন্ধ সোনাহাট স্থলবন্দর অবশেষে সেনাবাহিনীর হস্তক্ষেপে স্কুল থেকে পশুর হাট সরালেন বিএনপি নেত্রী ডিজিটাল পদ্ধতিতে বন্যার পূর্বাভাস কাজে আসছে না প্রান্তিক কৃষকের ব্রহ্মপুত্রের ভাঙনে বিলীন ৫০ ভিটেবাড়ি, হুমকিতে ফসলি জমি

শীতে জবুথবু কুড়িগ্রাম, শীতবস্ত্রের অভাবে হতদরিদ্র ও ছিন্নমূল মানুষ

  • প্রকাশিত : মঙ্গলবার, ২৮ জানুয়ারী, ২০২৫
আনোয়ার সাঈদ তিতু, কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধি:-
মঙ্গলবার, ২৮ জানুয়ারি ২০২৫ ইং ০৯:৫৯ এএম.
শীতের তীব্রতা বাড়ায় দুর্ভোগে পড়েছেন দেশের উত্তরের সীমান্ত ঘেঁষা জেলা কুড়িগ্রামের হতদরিদ্র ও ছিন্নমুল মানুষজন। অনেকে খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারনের চেষ্টাও করছে। কয়েকদিন থেকে সকালে ও রাতে ঘন কুয়াশায় আচ্ছন্ন থাকছে গোটা জনপদ। ঠান্ডা বেড়ে যাওয়ায় শীতবস্ত্রের অভাবে বিপাকে পড়েছে তারা।
মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
চরাঞ্চল এলাকায় নদ-নদীর হিমেল হাওয়ায় কাহিল খেটে খাওয়া মানুষজন। ভোগান্তীতে পড়েছে স্কুলগামী শিক্ষাথীরা। অন্যদিকে, কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালসহ উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সগুলোতে ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া, কাশি ও জ্বরসহ শীতের ঠান্ডাজনিত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে।
ছবি লোডিং........
সদরের পাঁচগাছী ইউনিয়নের মিলপাড়া এলাকার জামাল বাদশাহ বলেন, ‘এতো ঠান্ডা পড়ছে সকালে কাজে করা যায় না, হাত পা বরফ হয়ে যায়। আমরা গরিব মানুষগুলা খুব কষ্টোত পড়ছি।’
ওই এলাকার কনছোর আলী বলেন, ‘সকালে এতো শীত ঠান্ডা থাকে, ঘর থেকে বাহির হওয়ায় যায় না। রাতে ঠান্ডার কারণে ঘুমে হয় না। এই সময় কম্বল পাইলে হামার অনেক উপকার হয়।’
চিলমারী ইউনিয়নের করাইবরিশাল এলাকার একজন বলেন, ‘শীত মৌসুম এলে হামার চরাঞ্চল মানুষের খুব বিপদ আইসে। কারণ, শীত ও ঠান্ডা বেশি লাগে কাজ কাম করা যায়, রাতে ঠিকমতো ঘুমও হয় না। খালি বাতাস লাগে। কাইয়ো হামার এইদিক এলাও কম্বল দিবের আইসে নাই।’
একই ইউনিয়নের মমিন মিয়া (৫০) বলেন, ‘শীত আইসলে চরে জমিতে আবাদ করা খুব সমস্যা। কয়েক দিন থাকি শীত ও ঠান্ডা থাকায় জমিতে কাজ করতে পারছি না।’
ছবি লোডিং...........
কুড়িগ্রাম পৌর শহরের স্কুলের একজন শিক্ষাথী বলেন, সকালে স্কুলে যেতে হয়। কয়েক দিন থেকে যে শীত ও ঠান্ডা পড়েছে স্কুল যেতে খুব কষ্ট হচ্ছে। স্কুল না গেলে তো লেখাপড়ার ক্ষতি হবে, তাই কষ্ট করে হলেও স্কুলে যেতে হচ্ছে।
জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা আব্দুল মতিন বলেন, জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে শীতার্ত মানুষদের মধ্যে কম্বল বিতরণ অব্যাহত রয়েছে।
কুড়িগ্রামের রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার বলেন, সোমবার জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

‍এই ক্যাটাগরির ‍আরো সংবাদ