1. lakituli@gmail.com : admin : Engr. Md. Lakitul Islam
  2. lakitul.umec@gmail.com : Sarder Alamin : Alamin Sarder
শুক্রবার, ০৬ জুন ২০২৫, ১০:২৪ পূর্বাহ্ন
নোটিশ :
বিভিন্ন জেলা,উপজেলা-থানা,পৈারসভা,কলেজ ও ইউনিয়ন পর্যায় সংবাদকর্মী আবশ্যক ।
সংবাদ শিরনাম :
ঈদুল আজহায় ফেরি সুবিধা বঞ্চিত ব্রহ্মপুত্র পাড়ি দেয়া যাত্রীরা কুড়িগ্রামে দুস্থদের চাল বিক্রি, সেনাবাহিনীর হস্তক্ষেপে উদ্ধার ঈদুল আজহার ১০ দিন বন্ধ সোনাহাট স্থলবন্দর অবশেষে সেনাবাহিনীর হস্তক্ষেপে স্কুল থেকে পশুর হাট সরালেন বিএনপি নেত্রী ডিজিটাল পদ্ধতিতে বন্যার পূর্বাভাস কাজে আসছে না প্রান্তিক কৃষকের ব্রহ্মপুত্রের ভাঙনে বিলীন ৫০ ভিটেবাড়ি, হুমকিতে ফসলি জমি কুড়িগ্রামে সকল অন্যায়-অনিয়মের বিরুদ্ধে সোচ্চার সেনাবাহিনী ঘাট তলিয়ে যাওয়ায় চিলমারী-রৌমারী রুটে ফেরি চলাচল বন্ধ রশিদে মূল্য লেখা না থাকায় পশুর হাট ইজারাদারকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা শেষ মুহূর্তে জমে উঠেছে কুড়িগ্রামে পশুর হাটগুলো

মেডিকেলে ভর্তির সুযোগ পেয়েও পড়াশোনার খরচ নিয়ে দুশ্চিন্তায় ছিটমহলের মোহছেনার পরিবার

  • প্রকাশিত : মঙ্গলবার, ২১ জানুয়ারী, ২০২৫
ছবি লোড হচ্ছে....................
আনোয়ার সাঈদ তিতু, কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধি:-
মঙ্গলবার, ২১ জানুয়ারি ২০২৫ ইং ০৯:০১ এএম.
কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ি উপজেলার বিলুপ্ত ছিটমহল দাসিয়ার ছড়ার বাসিন্দা মোহছেনা আক্তার। প্রথমবারের মতো বিলুপ্ত ছিটমহলের কোনো বাসিন্দা মেডিকেলে ভর্তির সুযোগ পেয়েছে। এতে সবাই আনন্দিত হলেও মেডিকেল কলেজে ভর্তির টাকা নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছে দরিদ্র পরিবারটি।
জানা গেছে, মোফাজ্জল হোসেনের মেয়ে মোহছেনা আক্তার এবারের মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পেয়েছে। সে ২০২২ সালে গঙ্গারহাট দাখিল মাদরাসা থেকে জিপিএ-৫ পেয়ে এসএসসি, কাশিপুর ডিগ্রি কলেজ থেকে ২০২৪ সালে জিপিএ-৫ পেয়ে এইচএসসি পাস করে।
তার বাবা কৃষক ও মা গৃহিণী। তিন বোনের মধ্যে মোহছেনা সবার ছোট। বড় বোন মাহাবুবা মুক্তা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটে লেখাপড়া করছেন এবং মেজো বোন মাহফুজা খাতুন মিষ্টি কুড়িগ্রাম মহিলা কলেজে অনার্সে লেখাপড়া করছেন। সীমিত আয়ের এই পরিবারটি এতদিন মেয়েদের পড়াশোনার খরচ বহন করলেও মেডিকেলে পড়াশোনার বিপুল খরচ মেটানো এখন তাদের জন্য কঠিন হয়ে পড়েছে।
মোহছেনার বাবা মোফাজ্জল হোসেন বলেন, আমার মেয়ের মেডিকেলে চান্স পাওয়া আমার জন্য অনেক গর্বের। কিন্তু মেয়েকে ডাক্তার বানানোর স্বপ্ন পূরণে আর্থিক সহযোগিতা প্রয়োজন।
মোহছেনা বলে, আমি ছোটবেলা থেকেই ডাক্তার হওয়ার স্বপ্ন দেখেছি। তবে এখন আমার পড়াশোনার জন্য সহযোগিতা প্রয়োজন। আমি সবার কাছে সাহায্যের আবেদন জানাই।
বড় বোন মাহাবুবা মুক্তা বলেন, আমার বোন মেডিকেলে সুযোগ পাওয়ায় আমি আনন্দিত। আমার বাবা ছিটমহল দাসিয়ার ছড়ার থাকায় চাকরি করতে পারেনি। অন্যর জমি বর্গা নিয়ে চাষ করে আমাদেরকে লেখাপড়া করাচ্ছেন।
স্থানীয় আমিনুল ইসলাম, আশাদুল, জলিল মিয়াসহ অনেকেই বলেন, ছিটমহল দাসিয়ার ছড়ার মানুষ আজ গর্বিত। আমাদের মেয়ে এবার মেডিকেলে সুযোগ পেয়েছে। মোহছেনার পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানাচ্ছি।
কাশিপুর ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ আব্দুল বাকী খন্দকার বলেন, আমার প্রতিষ্ঠানের মেধাবী ছাত্রী মোহছেনা। সে মেডিকেলে ভর্তির সুযোগ পেয়েছে শুনে আমি খুব খুশি হয়েছি। তাকে যতটুকু সহযোগিতা করা যায় করব।

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

‍এই ক্যাটাগরির ‍আরো সংবাদ