1. lakituli@gmail.com : admin : Engr. Md. Lakitul Islam
  2. lakitul.umec@gmail.com : Sarder Alamin : Alamin Sarder
শুক্রবার, ১১ এপ্রিল ২০২৫, ০৩:৫৫ অপরাহ্ন
নোটিশ :
বিভিন্ন জেলা,উপজেলা-থানা,পৈারসভা,কলেজ ও ইউনিয়ন পর্যায় সংবাদকর্মী আবশ্যক ।
সংবাদ শিরনাম :
কুড়িগ্রামে সেনাবাহিনীর অনুপ্রেরণা বিষয়ক সেমিনার মা-মেয়েকে উত্ত্যক্তের ঘটনায় মাইকিং করে সংঘর্ষ মহাসড়কে অবৈধ যান ট্রাক্টরের চাপায় ঝড়লো তাজা ২ স্কুলছাত্রের প্রাণ চাঁপাইনবাবগঞ্জে আব্দুল হাকিম পিন্টুর খুনিদের গ্রেফতার ও শাস্তির দাবীতে মানববন্ধন ৫ কৃষককে মারধরে পতাকা বৈঠকে বিএসএফের দুঃখপ্রকাশ সীমান্তে ০৩ জন আসামীসহ বিপুল পরিমাণ ফেনসিডিল ইয়াবা প্রাইভেট কার আটক বরিশালে ডাস্টবিন-দিঘি-পুকুরে মিলেছে নারীকে হত্যার হাত-পাসহ মানবদেহের ৮টি অংশ শীতে জবুথবু কুড়িগ্রাম, শীতবস্ত্রের অভাবে হতদরিদ্র ও ছিন্নমূল মানুষ পরিকল্পিতভাবে গলা কেটে হত্যা! সন্দেহ এড়াতে দাফনে সহযোগিতা, গ্রেপ্তার ৩ বাংলাদেশে নতুন রাজনৈতিক দলের আত্মপ্রকাশ

কব্জি দিয়ে পরীক্ষায় বেরোবি’তে চান্স, তবুও অনিশ্চিত ভর্তি

  • প্রকাশিত : সোমবার, ২১ অক্টোবর, ২০২৪
ছবি লোড হচ্ছে.............
আনোয়ার সাঈদ তিতু, কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধি:-
রোববার, ২০ অক্টোবর ২০২৪ ইং ০৭:০০ পিএম.
হাতের কব্জির সাহায্যে লিখে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে (বেরোবি) ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন মিনারা। কিন্তু টাকার অভাবে ভেস্তে যেতে বসেছে মেধাবী এ শিক্ষার্থী প্রতিবন্ধী মিনারা খাতুনের শৈশবকালের ইচ্ছা। বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি এবং পরের কয়েক বছর পড়ার খরচ জোগানোই এখন তার মূল চিন্তা।
জন্ম থেকেই দুই হাতে কোনো আঙুল নেই মিনারার। তবুও অদম্য ইচ্ছা শক্তি নিয়ে হাতের কব্জির সাহায্যে লিখতে শেখেন তিনি।
মিনারা খাতুন কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলার কাঁচকোল দক্ষিণ বাঁধ এলাকার দিনমজুর মো. রফিকুল ইসলাম ও মৃত মর্জিনা বেগমের মেয়ে। দুই বোনের মধ্যে মিনারা ছোট।
জীবন যুদ্ধে হারতে নারাজ মিনারা। দুই হাতের আঙুল না থাকলেও, কব্জির সাহায্যে লিখেই তিনি একে একে পিইসি, জেডিসি ও দাখিল পরীক্ষায় পাস করেন। পরে কারমাইকেল কলেজে এইচএসসিতে ভর্তি হন। গত ২০২২ সালে কারমাইকেল কলেজ থেকে এইচএসসি পরীক্ষায় কৃতকার্য হয়ে কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজে হিসাব বিজ্ঞানে অনার্সে ভর্তি হন। এবারে দ্বিতীয় বারেরমতো রংপুর বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে (বেরোবি) ব্যবস্থাপনা বিষয়ে ভর্তির সুযোগ পান মিনারা।
ব্যবস্থাপনা বিভাগে ভর্তির সুযোগ পেয়েও শুধু অর্থাভাবে স্বপ্নের বিদ্যাপীঠ বেরোবিতে ভর্তি হতে পারছেন না মিনারা। আগামীকাল সোমবার (২১ অক্টোবর) বেরোবিতে ভর্তির শেষ দিন। ভর্তির শেষ সময় ঘনিয়ে এলেও ভর্তির জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ জোগান দিতে না পেরে হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েছে মিনারার পরিবার।
মায়ের মৃত্যুর পর সাতবার নদীতে বাড়িভাঙনের শিকার বাবা রফিকুল ইসলাম মিনারার খালাকে বিয়ে করেন। শারীরিকভাবে মিনারা স্বাভাবিক থাকলেও তার দুহাতে কোনো আঙুল নেই। দুই হাতের কব্জির সাহায্যে কলম ধরে তিনি এখন পর্যন্ত পড়ালেখা চালিয়ে আসছেন।
বাবা রফিকুল ইসলাম দিনমজুর। অভাবের সংসার তার। নুন আনতে পানতা ফুরায়। নদী ভেঙে পাউবো বাঁধে আশ্রয় নিয়েছিলেন তিনি। হঠাৎ পাউবো বাঁধে আশ্রিতদের বাড়ি ভেঙে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। পরের জায়গায় আশ্রয় নিয়ে কোনো রকমে পরিবার নিয়ে দিনাতিপাত তার।
সমাজসেবা অধিদপ্তর মিনারার নামে মাসিক ৬০০ টাকা প্রতিবন্ধী ভাতা বরাদ্দ দেয়। এ টাকায় চলত তার পড়ালেখার খরচ।
ভর্তির জন্য কুড়িগ্রাম কলেজে পূর্বের ভর্তি বাতিল করে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে প্রায় ২০ হাজার টাকা প্রয়োজন। এ ছাড়াও ভর্তি হয়ে শিক্ষাজীবনের বাকি পথ কীভাবে পাড়ি দেবে তা তার জানা নেই। মিনারার বাবা রফিকুল ইসলাম মেয়ের উচ্চশিক্ষার জন্য সমাজের বিত্তবান ও শিক্ষানুরাগী ব্যক্তিদের সাহায্য-সহযোগিতা কামনা করেছেন। প্রয়োজনে ০১৭০৪-৩১১১৯২ নম্বরে যোগাযোগের অনুরোধ করেছেন।

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

‍এই ক্যাটাগরির ‍আরো সংবাদ