আনোয়ার সাঈদ তিতু, কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধি:-
সোমবার, ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ইং ০৮:০১ পিএম.
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারী জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেছেন- একদিকে ফ্যাসিবাদী হাসিনা আরেক দিকে বুক পেতে দেওয়া উত্তরবঙ্গের আবু সাইদের নেতৃত্বে গোটা বাংলাদেশ। সেই হাসিনাকে দেশ থেকে পালিয়ে যেতে হলো আর হাসিনার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে আবু সাইদের বাংলাদেশ বিজয়ী হলো।
সোমবার (০৯ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় কুড়িগ্রাম নিউ টাউন হলে জামায়াতে ইসলামী কুড়িগ্রাম জেলা শাখা আয়োজিত সভায় এসব কথা বলেন তিনি।
জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারী জেনারেল বলেন, ৫ আগষ্ট রক্তাক্ত বাংলাদেশের ওপর মানুষ ঈদের আনন্দ করেছে। আজকে তারা এই রক্ত দিয়ে ঋণী করে রেখে গেল। সেই ঋণ আমাদের শোধ করতে হবে। এই শহীদরা সেই দিন স্বার্থক হবে যেদিন তাদের স্বপ্নের বাংলাদেশ আমরা গড়তে পারব।
তিনি আরও বলেন, শেখ হাসিনা দেশের বাইরে থেকে বিচারপতিদের দিয়ে, আনসারদের দেশে অর্ন্তবর্তীকালেন সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করেছে। প্রশাসনের রন্দ্রে রন্দ্রে ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগের প্রেতাত্মারা ঘাপটি মেরে আছে। এসব পরিষ্কার করে দেশপ্রেমীদের নিয়োগ দিতে হবে।
দেশের নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা নোবেলজয়ী ড. ইউনুস সকল রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা করা রাষ্ট্র সংস্কারে যৌক্তিক সময় চেয়েছেন। জামায়াতে ইসলামসহ অন্যান্য দলগুলোও তাতে সমর্থন জানিয়েছে।
জামায়াতের সেক্রেটারী বলেন, সারা দেশে ছত্র-জনতার আন্দোলনে যারা শহীদ হয়েছেন সে শহীদ পরিবারগুলো জামায়াতে ইসলামীর পরিবার।
মতবিনিময় সভায় জেলা আমীর মাওলানা আব্দুল মতিন ফারুকীর সভাপতিত্বে আরো বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারী মাওলানা আব্দুল হালিম, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন কুড়িগ্রামের সমন্বয়ক মো: মিনারুল হক, ছাত্র শিবিরের কুড়িগ্রাম জেলা শাখার সভাপতি মো. আব্দুল্লাহ আল আবিদ, বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে শহীদ গোলাম রব্বানীর পিতা সাইদুল ইসলাম, শহীদ রাশেদুল ইসলামের পিতা মো: বাচ্চু মিয়া, শহীদ আবু রায়হানের পিতা মো: আব্দুর রশিদ, শহীদ নুর আলমের চাচা মমিনুল ইসলামসহ অন্যান্যরা।
সভা শেষে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে শহীদ ৪ জনের পরিবারের হাতে ২ লাখ টাকা করে অনুদান তুলে দেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী’র সেক্রেটারীসহ অন্যান্য নেতারা।
পরে আন্দোলনে শহীদদের মাগফেরাত ও আহতদের সুস্থতার জন্য দোয়া করা হয়।
Leave a Reply