আনোয়ার সাঈদ তিতু, কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধি:-
বৃহস্পতিবার, ২৫ জুলাই ২০২৪ ইং ০৭:০১ পিএম.
কুড়িগ্রামের রৌমারীতে শাহ মো. ফরিদ উজ্জামান (৩২) নামের এক ভুয়া চিকিৎসককে ৬ মাসের কারাদণ্ডসহ অর্থদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলার হক ডায়াগনস্টিক সেন্টারে অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করা হয়। পরে কাগজপত্র যাচাইয়ে ভুয়া প্রমাণিত হলে এ কারাদণ্ডের আদেশ দেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রাসেল দিও। তবে ওই ডায়াগনস্টিক সেন্টারের বিরুদ্ধে নেওয়া হয়নি কোনো ব্যবস্থা।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রাসেল দিও জানান, গত দু’মাস ধরে উপজেলা স্বাস্থ্য-কমপ্লেক্স গেটের সামনে ‘হক ডায়াগনস্টিক সেন্টার’ এ নিয়মিত রোগী দেখাসহ ব্যবস্থাপত্র প্রদান করে আসছিলেন শাহ মো. ফরিদ উজ্জামান নামের এক ব্যক্তি। তিনি নিজেকে শহিদুল ইসলাম ফরিদ নামের এক চিকিৎসকের নাম-পদবী ব্যবহার করে আসছিলেন। বৃহস্পতিবার গোপন তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করে ভ্রাম্যমাণ আদালত। নিজের স্বীকাররোক্তি ও কাগজপত্র যাচাইয়ে ভুয়া প্রমাণিত হয়। পরে মেডিকেল এবং ডেন্টাল কাউন্সিল আইন ২০১০ এর ২৮ ধারায় অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় শাহ মো. ফরিদ উজ্জামানকে ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডসহ এক হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়। তিনি জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার আকন্দপাড়া মণ্ডলবাড়ি এলাকার শাহজালাল আকন্দের ছেলে।
ভুয়া চিকিৎসকের আশ্রয়দাতা হক ডায়াগনস্টিক সেন্টারের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা না নেওয়া বিষয়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রাসেল দিও বলেন, অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তবে হক ডায়াগনস্টিক সেন্টারের পরিচালক মঞ্জুরুল হকের দাবি, তার (ভুয়া চিকিৎসক) সমস্ত কাগজপত্র জমা নিয়েই রোগী দেখার সুযোগ করে দেওয়া হয়েছিলো।
Leave a Reply