আনোয়ার সাঈদ তিতু, কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধি:-
সোমবার, ১৭ জুন ২০২৪ ইং ০৪:১৪ পিএম.
মাত্র কয়েক কিলোমিটার পথ অতিক্রম করে ঘণ্টাখানেক পরই বাড়িতে পৌঁছাতেন তারা। ঘুম থেকে উঠে সকালে স্ত্রীর হাতে মিষ্টান্ন খেয়ে দুই ছেলেকে নিয়ে ঈদের নামাজ পড়তে যেতেন স্বামী। কিন্তু দূরপাল্লার বাসের ঘাতক চালকের ‘হেয়ালিপনায়’ তেমনটা হয়নি। ঈদের দিনের সব পরিকল্পনা কাল্পনিক রেখে সড়কেই প্রাণ হারালেন দম্পতি। বাড়িতে পৌঁছার আগেই চিরনিদ্রায় চলে গেলেন তারা।
রবিবার (১৬ জুন) রাত সাড়ে ৯টার দিকে লালমনিরহাট জেলার সদর উপজেলার মহেন্দ্রনগর ইউনিয়নের ফকিরের তকেয়া নামক স্থানে কুড়িগ্রাম থেকে ঢাকাগামী একটি দূরপাল্লার বাসের ধাক্কায় এই প্রাণহানি ঘটে। লালমনিরহাট থানার ডিউটি অফিসার এএসআই হাসনাত এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
নিহত দম্পতির নাম বায়জিদ বাবু (৩৩) ও রোখসানা (২৭)। তাদের বাড়ি কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলার গুনাইগাছ ইউনিয়নের নাগরাকুড়া গ্রামে। বায়জিদ ওই গ্রামের আজিজুল হকের ছেলে। পেশায় ভেটেরিনারি ওষুধ বিক্রেতা ও ডিশ সংযোগ ব্যবসায়ী।
নিহত বায়জিদের নিকটাত্মীয় (তাওয়াতি ভাই) ব্যাংক কর্মকর্তা লিয়াকত আলী জানান, কয়েক বছর আগে ঢাকায় একটি গার্মেন্টে কাজ করার সময় দুর্ঘটনার শিকার হন বায়জিদ। তখন থেকে হাতের আঙুলের সমস্যায় ভুগছিলেন। চিকিৎসার কাজে রবিবার স্বামী-স্ত্রী রংপুরে গিয়েছিলেন। ডাক্তার দেখানো শেষে মোটরসাইকেলে করে বাড়ি ফিরছিলেন। রংপুর-কুড়িগ্রাম মহাসড়কের ফকিরের তকেয়া নামক স্থানে পৌঁছালে কুড়িগ্রাম থেকে ছেড়ে যাওয়া একটি বাস তাদের ধাক্কা দিয়ে দ্রুত চলে যায়। এতে মোটরসাইকেল থেকে ছিটকে পড়ে ঘটনাস্থলে ওই দম্পতি মারা যান।
লিয়াকত বলেন, ‘স্থানীয়রা নিহতদের ছবি তুলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচার করলে আমরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে তাদের শনাক্ত করি। পরে লালমানিরহাট থানা পুলিশের উপস্থিতিতে আইনি প্রক্রিয়া শেষে লাশ বাড়িতে পাঠানো হয়।’ ওই দম্পতির পরিবারে দুই ছেলে রয়েছে বলে জানান তিনি।
Leave a Reply