আনোয়ার সাঈদ তিতু, কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধি:-
সোমবার, ১০ জুন ২০২৪ ইং ০৪:০৪ পিএম.
কুড়িগ্রামে এখন বাণিজ্যিক ভিত্তিতে আঙুর চাষ হচ্ছে। জেলার রাজারহাট, ফুলবাড়ী ও সদর উপজেলায় কয়েকজন কৃষক আঙুর চাষ করে সফল হয়েছেন। তাদের বাগানে প্রায় ২০ প্রজাতির বিদেশি জাতের আঙুর ফল আছে। আঙুর চাষের পাশাপাশি মিশ্র ফলও চাষ করছেন অনেকে। জেলায় আঙুর চাষের উপযোগী জমি থাকায় এ ফল চাষের সম্ভাবনার কথা জানায় কৃষি বিভাগ।
বড় আঙুর বাগানটি হয়েছে রাজারহাট উপজেলার পা-ুল ইউনিয়নে। ৩ বিঘা জমিতে আঙুর ও মিশ্র ফলের বাগান গড়ে তুলেছেন এক উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা রেজাউল করিম রাজু। এক বছর আগে রাশিয়া, ইউক্রেনসহ বিভিন্ন দেশ থেকে আনা এক কৃষকের কাছ থেকে চারা সংগ্রহ করেন তিনি। বাইকুনর, গ্রীনলং, ডিক্সন, মুনড্রপসহ প্রায় ৪০ জাতের আঙুর চারা সংগ্রহ করে জমিতে লাগানোর পাশাপাশি মিশ্র ফল হিসেবে বিভিন্ন জাতের আম, মালটাসহ অন্যান্য ফল চাষ করছেন তিনি। এক বছরে বাগানে প্রায় ২০ জাতের অধিকাংশ গাছেই এসেছে আঙুর ফল। কুড়িগ্রাম কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্র জানায়, জেলায় ৪৭ হাজার ৩০২ হেক্টর উঁচু জমি রয়েছে, যা আঙুর চাষের জন্য উপযোগী।
রেজাউলের আঙুর বাগান দেখতে জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে আসছেন কৃষি উদ্যোক্তারা। লালমনিরহাট থেকে এসেছেন জলিল মিয়া নামের একজন কৃষি উদ্যোক্তা । তিনি বলেন, রেজাউল ভাইয়ের আঙুরের বাগান দেখতে এসেছি। পরামর্শ নিয়ে আমিও ছোট পরিসরে আঙুর চাষ করতে চাই।
কৃষি উদ্যোক্তা রেজাউল করিম রাজু বলেন, আমি যে জমিতে আঙুর চাষ করেছি, জমিটি দীর্ঘদিন ধরে পরিত্যক্ত অবস্থায় পরে ছিল। পরে এই জমিতে বিদেশি জাতের ৪০টি জাতের আঙুর চাষ করেছি। ৯ মাসের মধ্যে ২০ জাতের গাছে ফলন এসেছে। আমার ধারণা কুড়িগ্রামের প্রতিটি স্থানে আঙুর চাষ হবে, যেখানে রোদ থাকে এবং পানি জমে থাকে না। যেহেতু আমদানিনির্ভর ফল আমরা বাণিজ্যিকভাবে চাষ করলে আমদানি করা লাগবে না।
কৃষি কর্মকর্তা মো. তরিকুল ইসলাম বলেন, বন্যামুক্ত ও রৌদ্রোজ্জ্বল জমিতে আঙুর চাষ করা যায়। আঙুরের সঠিক জাত পেলে কুড়িগ্রামে বাণিজ্যিকভাবে চাষ করে লাভবান হওয়া সম্ভব। বাণিজ্যিকভাবে চাষ করা গেলে আমদানিনির্ভরতা কমে যাবে। জেলার রাজারহাট, ফুলবাড়ী ও সদর উপজেলার ৩ জন কৃষি উদ্যোক্তা নিজ উদ্যোগে বাণিজ্যিকভাবে আঙুর চাষ করে সফল হওয়ার পাশাপাশি আঙুর চাষের সম্ভাবনা জাগিয়েছেন।
Leave a Reply