মোঃ তাওরাত, বরগুনা প্রতিনিধি:-
পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী কর্নেল (অবঃ) জাহিদ ফারুক শামীম বলেছেন, সরকারের কাছে কি আলাদিনের চেরাগ আছে? বাংলাদেশে এতোগুলো নদী, সবগুলায় কি স্থায়ী প্রতিরক্ষা বাঁধ করা সম্ভব? এটা সম্ভব না। সরকারের একার পক্ষে সব জায়গায় নদী ভাঙন রক্ষা করাও সম্ভব না। সকলকেই সরকারকে সহযোগিতা করতে হবে।
মঙ্গলবার (৪ জুন) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বরগুনার পাথরঘাটায় ঘূর্ণিঝড় রেমালে ক্ষতিগ্রস্থ বাঁধ এলাকা পরিদর্শনে এসে স্থানীয় বাসিন্দাদের স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের দাবিতে তিনি এ কথা বলেন।
এ সময় প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, বাংলাদেশ নদীমাতৃক দেশ। বাংলাদেশ একটা বদীপ। এখানে বিভিন্ন আকারের ৪০৫টি নদী আছে। শুধু বাংলাদেশ নয় পৃথিবীর সব জায়গায় যারা সমুদ্রের পাড়ে বসবাস করে তাদেরকে বিভিন্ন ঘূর্ণিঝড় জলোচ্ছ্বাস মোকাবিলা করতে হয়। আমরা আপনাদের দাবি অনুযায়ী স্থায়ী প্রতিরক্ষা বাঁধ নির্মাণ করতে অবশ্যই বিবেচনা করবো। আমরা চাই নদী ভাঙন এলাকার মানুষের যাতে কোনো কষ্ট না হয় সেই ব্যবস্থা করতে।
এছাড়াও তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী নিজেই ঘূর্ণিঝড়ের পরে ক্ষতিগ্রস্থ এলাকা পরিদর্শন করেছেন। তার নির্দেশনায় অনুযায়ী আমরা এখন ক্ষতিগ্রস্থ এলাকা পরিদর্শন করছি। দক্ষিণ অঞ্চলের মানুষের নিরাপত্তায় সবকিছুই করা হবে।
স্থানীয় বাসিন্দা ও জনপ্রতিনিধিদের উদ্দেশ্যে প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, আপনারা আপনাদের নদী ভাঙন এলাকা ও ঘর-বাড়ি যদি রক্ষা করতে চান তাহলে যার যার বাড়ির সামনে বেশি করে গাছ লাগান। যত বেশি গাছ লাগাবেন ভাঙন ততই কম হবে। আমরা নদীর পাড়ে দেখেছি যেখানে যেখানে গাছ ছিল সেখানে তেমন কোনো ভাঙন নেই। আমরা ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় বাঁধ করে দেব কিন্তু এ বাঁধ টিকবে না। যদি আপনারা গাছ না লাগান।
স্থায়ী প্রতিরক্ষা বাঁধ নির্মাণের বিষয়ে প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক শামীম বলেন, আমরা স্থায়ী প্রতিরক্ষা বাঁধের ব্যবস্থা করবো। তবে এটা করা সময় সাপেক্ষ ব্যাপার। এটা করতে এক থেকে দুই বছর সময় লাগবে। স্থায়ী বাঁধ করতে হলে একটা সমিক্ষা করতে হবে, সেটা না হলে এ বাঁধ করলেও তা টিকবে না। এ কারণে স্থায়ী প্রতিরক্ষা বাঁধ প্রকল্প না হওয়ার আগ পর্যন্ত যে বাঁধগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তা জিও ব্যাগ দিয়ে ঠিক করে দেব।
এ সময় প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে আরও উপস্থিত ছিলেন, বরগুনা-১ আসনের সংসদ সদস্য গোলাম সরোয়ার টুকু, বরগুনা-২ আসনের সংসদ সদস্য সুলতানা নাদিরা, বেতাগী পৌরসভার মেয়র গোলাম কবির, বরগুনার জেলা প্রশাসক মোহা. রফিকুল ইসলাম, পাথরঘাটা পৌরসভার মেয়র আনোয়ার হোসেন আকন, পাথরঘাটা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. রোকনুজ্জামান খানসহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও আওয়ামী লীগের বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
Leave a Reply