1. lakituli@gmail.com : admin : Engr. Md. Lakitul Islam
  2. lakitul.umec@gmail.com : Sarder Alamin : Alamin Sarder
শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৫, ০৮:৫২ অপরাহ্ন
নোটিশ :
বিভিন্ন জেলা,উপজেলা-থানা,পৈারসভা,কলেজ ও ইউনিয়ন পর্যায় সংবাদকর্মী আবশ্যক ।
সংবাদ শিরনাম :
৪০০ বছরের মসজিদ দেখতে আসে দূর-দূরান্তের মানুষ ভারতের এক তরফা পানি প্রত্যাহারে অস্তিত্ব সংকটে কুড়িগ্রামের ১৬ নদ-নদী মাদক কারবারির বাড়িতে পুলিশের অভিযানে মাদকসহ গ্রেফতার ১ কুড়িগ্রামে হামলার মামলায় ইউপি চেয়ারম্যান গ্রেফতার বর্ণাঢ্য আয়োজনে কুড়িগ্রামে বর্ষবরণ উদযাপন কুড়িগ্রামে সেনাবাহিনীর অনুপ্রেরণা বিষয়ক সেমিনার মা-মেয়েকে উত্ত্যক্তের ঘটনায় মাইকিং করে সংঘর্ষ মহাসড়কে অবৈধ যান ট্রাক্টরের চাপায় ঝড়লো তাজা ২ স্কুলছাত্রের প্রাণ চাঁপাইনবাবগঞ্জে আব্দুল হাকিম পিন্টুর খুনিদের গ্রেফতার ও শাস্তির দাবীতে মানববন্ধন ৫ কৃষককে মারধরে পতাকা বৈঠকে বিএসএফের দুঃখপ্রকাশ

কতকাল পানিতে ভাসতে হবে কইতে পারি না

  • প্রকাশিত : মঙ্গলবার, ৪ জুন, ২০২৪
ছবি লোড হচ্ছে........
ঘূর্নিঝড় রিমালে ক্ষতিগ্রস্ত মিনারা বেগম
মোঃ তাওরাত, বরগুনা প্রতিনিধি:-
ঘূর্ণিঝড়ের নাম শুনলেই আঁতকে ওঠেন বরগুনার মাঝেরচরের বাসিন্দা ৬৫ বছর বয়সী মিনারা বেগম। প্রলয়ঙ্কারী ঘূর্ণিঝড় সিডরের তাণ্ডবে স্বজন হারিয়েছেন তিনি। প্রতিটি ঘূর্ণিঝড়ই তার বাড়িঘর ও ফসলের মাঠ নষ্ট হয়ে ঘরের মালামাল ভাসিয়ে নিয়েছে।
সর্বশেষ ঘূর্ণিঝড় রেমালের তাণ্ডবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে মিনারা বেগম বলেন, আল্লাহ তুমি আমাগো লইয়া যাও। কতকাল আর আল্লায় পানিতে ভাসাইবে, কইতে পারি না।
বারবার ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া মিনারা আরও বলেন, সিডরের সময় ছেলে-মেয়ে ও স্বামীকে নিয়ে ঘরেই ছিলাম। যখন পানি ওঠা শুরু হয়েছিল তখন আমরা আশ্রয়ণে গিয়ে আশ্রয় নিয়েছি। তবে পানির প্রচণ্ড স্রোতে আমাদের একেক জনকে একেকদিকে ভাসিয়ে নিয়ে যায়। ওই সময়ে আমার এক নাতি মারা যায়। মাঝেরচর ছাড়া আমাদের আর থাকার কোনো জায়গা নেই। বিভিন্ন সময়ে বন্যায় আমাদের ক্ষতি হলেও বাধ্য হয়ে আমাদের এই চরেই থাকতে হয়।
এবার আবারও ঘূর্ণিঝড় রেমালে বেড়িবাঁধ ভেঙে পনিতে আমাদের ঘরবাড়ি প্লাবিত হয়েছে। ভাসিয়ে নিয়ে গেছে ঘরের মালামাল। তিনদিন ধরে চলতে থাকা ঘূর্ণিঝড়ে আমরা অনেক কষ্ট করেছি। রান্না করে খাওয়ারমতো কিছুই ছিল না। প্রায় তিন চারদিন না খেয়ে থাকতে হয়েছে। এছাড়া যে সময় থেকে মাঝেরচরে বসবাস শুরু করেছে সেই থেকেই আমরা বিভিন্ন সময় পনিতে ভেসেছি। ঘূর্ণিঝড় মেরালে যখন ঘরবাড়ি পানিতে তলিয়েছে তখন মনের কষ্টে বলেছি, আল্লাহ তুমি আমাগো লইয়া যাও। পানিতে আর কত কাল ভাসতে হবে? একমাত্র আল্লাহ ছাড়া আমাদের দেখার কেউ নেই।
তিনি আরও বলেন, আমাদের এখানে বসবাস করতে উঁচু বেড়িবাঁধ প্রয়োজন। চরে ব্লক দিয়ে টেকসই বেড়িবাঁধ তৈরি করলে প্রতিবছর আর সংস্কার করার প্রয়োজন হয় না। আমরাও নিরাপদ থাকতে পারব।
বরগুনার বিষখালী নদীর মাঝে জেগে ওঠা মাঝেরচরটিতে প্রাকৃতিক দুর্যোগের সঙ্গে লড়াই করে বসবাস করছেন মিনারার মতো আরও অসংখ্য পরিবার। জীবনের নিশ্চয়তা না থকলেও থাকার জন্য বিকল্প কোনো জায়গা নেই তাদের। এতে বাধ্য হয়ে ওই চরেই বসবাস করছেন পরিবারগুলো। প্রলয়ঙ্কারী ঘূর্ণিঝড় সিডরে মাঝেরচরে অসংখ্য মানুষের প্রাণহানি ও ঘরবাড়ি সস্পূর্ণ বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনা ঘটে। টেকসই বেড়িবাঁধ না থাকায় প্রতিটি ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাসেই বাঁধ ভেঙে পানিতে প্লাবিত হয়ে পড়ে এ চরের বাসিন্দারা। সর্বশেষ আবারও ঘূর্ণিঝড় রেমালের ঝড়ো হাওয়ায় ও পানিতে প্লাবিত হয়ে ঘরবাড়ি বিধ্বস্তসহ বিভিন্ন ধরনের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে মাঝেরচরের বাসিন্দাদের।

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

‍এই ক্যাটাগরির ‍আরো সংবাদ