1. lakituli@gmail.com : admin : Engr. Md. Lakitul Islam
  2. lakitul.umec@gmail.com : Sarder Alamin : Alamin Sarder
সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:০০ পূর্বাহ্ন
নোটিশ :
বিভিন্ন জেলা,উপজেলা-থানা,পৈারসভা,কলেজ ও ইউনিয়ন পর্যায় সংবাদকর্মী আবশ্যক ।
সংবাদ শিরনাম :
কুড়িগ্রামে উপজেলা আ.লীগ নেতা গ্রেফতার ‘বন্ধু’ সংগঠনের সৌজন্যে শীতবস্ত্র পেলো ৫ শতাধিক শীতার্ত কুড়িগ্রামে ডিজেল পাচার কালে আটক ২ ভারতে অনুপ্রবেশের সময় বিজিবি কর্তৃক যুবক আটক নেত্রকোনা বারহাট্টয় যুবপুরামের উদ্যোগে হুইসেল ব্লোয়ারদের অন্তর্ভুক্তি সভা অনুষ্ঠিত ব্রহ্মপুত্রের ভাঙ্গন ঠেকাতে স্থায়ী ব্যবস্থার দাবিতে নদীতীরে মানববন্ধন মেয়াদোত্তীর্ণ কীটনাশক বিক্রয়ের দায়ে ৩ দোকানিকে জরিমানা দোকান উচ্ছেদের নামে হামলা, লুটপাটের ঘটনায় ব্যবসায়ীদের মানববন্ধন কুড়িগ্রামে বিনামূল্যে উচ্চ ফলনশীল ব্রি-১০০ ধানবীজ বিতরণ কুড়িগ্রামে পিলখানা হত্যা ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের দাবিতে মানববন্ধন

মোহনগঞ্জ প্রেসক্লাবের অর্থ আত্মসাধের দায়ে সাধারণ সম্পাদক বহিষ্কার

  • প্রকাশিত : রবিবার, ২ জুন, ২০২৪
ছবি লোড হচ্ছে......

সাগর আহমেদ জজ, নেত্রকোনা প্রতিনিধি:-

অর্থ আত্মসাৎ,  নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির দায়ে নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মাসুম আহমেদকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
পাশপাশি আত্মসাতকৃত অর্থ এক মাসের মধ্যে ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়।

প্রেসক্লাবের সাধারণ সভায় শুক্রবার সন্ধ্যায় সর্বসম্মতিক্রমে তাঁকে বহিষ্কার করা হয়। এসময় সভায়  মাসুম আহমেদ উপস্থিত ছিলেন। শনিবার  সকালে মোহনগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি আবুল কাসেম আজাদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

মাসুম আহমেদ দৈনিক যায়যায়দিন পত্রিকার মোহনগঞ্জ উপজেলা প্রতিনিধি।

সভাপতি আবুল কাসেম আজাদ জানান, বিভিন্ন খাত থেকে আসা প্রেসক্লাবের অনুদানের ৫ লাখের বেশি টাকা আত্মসাৎ করেন সাধারণ সম্পাদক মাসুম আহমেদ। যদিও সাধারণ সম্পাদক অর্থ আত্মসাতের বিষয়টি অস্বীকার করেন। সেইসাথে অর্থ আত্মসাতের বিষয়টি ধামাচাপা দিতে ভুয়া রেজ্যুলেশন ও গায়েবি বিল ভাউচার তৈরি করেন তিনি।
পরে বিষয়টি তদন্তে  ক্লাবের তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত গঠন করা হয়। তদন্তে অর্থ আত্মসাত ও ধামাচাপা দিতে ভুয়া রেজ্যুলেশন ও গায়েবি বিল ভাউচার তৈরির বিষয়টি ধরা পড়ে।

তিনি আরও জানান, তদন্ত কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী ক্লাবের সাধারণ সভায় সর্বসম্মতিক্রমে সাধারণ সম্পাদক মাসুম আহমেদকে তাঁর পদ থেকে অপসারণ ও ক্লাবের সদস্য পদ থেকে  বহিষ্কার করা হয়। সেইসাথে আত্মসাতকৃত ৫ লাখ টাকার মধ্যে ১ লাখ টাকা মাফ করে দেওয়া হয়। বাকি ৪ লাখ টাকা আগামী ৩০ দিনের মধ্যে প্রেসক্লাবের একাউন্টে জমা দিতে বলা হয়। অন্যথায় তাঁর বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
এদিকে যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক মানিক তালুকদার ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।

মানিক তালুকদার জানান,  মাসুম আহমেদ নিজ সংগঠনের অর্থ আত্মসাতসহ নানা অনিয়ম করে প্রেসক্লাব ও সাংবাদিকদের মান-সম্মান ক্ষুন্ন করেছেন। এ রায় সাংবাদিকদের ভাবমূর্তি ফিরিয়ে আনার পাশাপাশি অনিয়মের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।

বহিষ্কারের বিষয়ে মাসুম আহমেদ বলেন, এ সিদ্ধান্ত মেনে নিয়েছি। তবে টাকা ফেরত দেওয়ার জন্য সময় চেয়েছি।

প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক নরোত্তম রায় বলেন, অনিয়ম করে কেউ পার পায় না। এই রায় তারই উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।

উল্লেখ্য- অর্থ আত্মসাৎ, নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে গত ১৯ এপ্রিল ক্লাবের সাধারণ সভায় তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। পরে ২৯ এপ্রিল তদন্ত কমিটি প্রতিবেদন দাখিল করে। তদন্তে অর্থ আত্মসাতসহ ব্যাপক অনিয়ম ধরা পড়ে। তদন্ত প্রতিবেদনের সুপারিশ অনুযায়ী গত শুক্রবার ক্লাবের সাধারণ সভায় মাসুম আহমেদকে সাধারণ সম্পাদক পদ থেকে ও প্রেসক্লাব থেকে বহিষ্কার করা হয়।

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

‍এই ক্যাটাগরির ‍আরো সংবাদ