মোঃ তাওরাত নিজস্ব প্রতিবেদক:
লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলার বাসিন্দা সুধা রানী। ১৮তম শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষার প্রিলিমিনারিতে উত্তীর্ণ হয়েছেন তিনি। তবে হিন্দু ধর্মের অনুসারী হয়েও তিনি ‘হাদিস’ বিষয়ের প্রভাষক হতে পছন্দক্রম দিয়েছেন। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে চলছে আলোচনা সমালোচনা।
সুধা রানীর হাদিস বিষয়ে প্রভাষক হিসেবে উত্তীর্ণ হওয়া নিয়ে অনেকে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষকে (এনটিআরসিএ) দায়ী করছেন। যদিও এনটিআরসিএ বলছে, প্রার্থী আবেদনের সময় যে বিষয় পছন্দক্রমে দিয়েছেন, সেই বিষয়ই তাকে দেওয়া হয়েছে। এখানে ভুল হলে দায়ী প্রার্থী।
সুধা রানীর স্থায়ী ঠিকানা লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলার বোথলা চন্দ্রপুর। তার স্বামীর নাম গোবিন্দ্র চন্দ্র। তিনি রংপুরের একটি কেন্দ্রে পরীক্ষা দেন।
সুধা রানী ২০০৯ সালে দিনাজপুর বোর্ড থেকে এসএসসি ও ২০১১ সালে এইচএসসি পাস করেছেন। দুই পরীক্ষাতেই তার বিভাগ ছিল মানবিক। এরপর ২০১৫ সালে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইতিহাস বিভাগে স্নাতক এবং ২০১৬ সালে একই বিভাগ থেকে স্নাতকোত্তর পাস করেছেন।
এদিকে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সুধা রানীর হাদিসের প্রভাষক হিসেবে শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়া নিয়ে অনেকে ঠাট্টা-বিদ্রূপ করে পোস্ট দেন। সেখানে অধিকাংশই এ ভুলের জন্য এনটিআরসিএকে দায়ী করেন।
বিষয়টি নজরে আসার পর এনটিআরসিএ সুধা রানীর আবেদনপত্র ও পরীক্ষার খুঁটিনাটি খতিয়ে দেখে। তাতে দেখা গেছে, সুধা রানী নিজেই হাদিস বিষয় চয়েজ দিয়েছেন।
এনটিআরসিএর চেয়ারম্যান সাইফুল্লাহিল আজম বলেন , ‘সুধা রানীর বিষয়টি জানার পর আমরা তার আবেদনের কপি যাচাই করে দেখেছি। তিনি নিজেই আবেদনের সময় সাবজেক্ট চয়েজ দিয়েছেন হাদিস বিষয়ে। তার আবেদন অনুযায়ী ফল দেওয়া হয়েছে। এটি প্রার্থীর ভুলের কারণে হয়েছে।
Leave a Reply