আনোয়ার সাঈদ তিতু, কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধি:-
কুড়িগ্রামে দ্বিতীয় ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে সামনে রেখে সব শ্রেণি পেশার মানুষের নিরাপত্তা ও নানাবিধ পুলিশী কার্যক্রম নিয়েছে জেলা পুলিশ। এরই ধারাবাহিকতায় জেলার নির্বাচনী এলাকায় টহল জোরদার করা হয়েছে। আগামী ২১ তারিখ নির্বাচনের দিন পর্যন্ত নানা প্রকার পুলিশিং কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
পুলিশ জানায়, উলিপুর, রাজারহাট ও কুড়িগ্রাম সদর উপজেলা পরিষদ নিবার্চন সুষ্ঠু, সুন্দর, নান্দনিক গতিশীল ও অগ্রসরমান কুড়িগ্রামের নাগরিক নিরাপত্তা ও একটি অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ২য় ধাপের ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন সম্পন্ন করার লক্ষ্যে কঠোর, নিরপেক্ষ, নির্মোহ অবস্থানে থেকে সপ্তাহব্যাপী কুড়িগ্রাম সদর, উলিপুর ও রাজারহাট উপজেলায় জেলা পুলিশ অব্যাহত রেখেছে নিরবিচ্ছিন্ন ডমিনিশেন প্যাট্রলিং ও পুলিশিং কার্যক্রম।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস) সাজ্জাদ হোসেন এর নেতৃত্বে কুড়িগ্রাম সদরের সমন্বিত এই কার্যক্রমে বিশেযভাবে প্রশিক্ষিত একটি পুরুষ কিউআরটি, একটি নারী কিউআরটি, ডিবি’র একটি দক্ষ টিম সহ বিশেষ শাখার সদস্যরা। সদর ও রাজারহাট উপজেলায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) এ কে এম ওহিদুন্নবী, উলিপুর উপজেলায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (উলিপুর সার্কেল) মোহাম্মাদ মহিবুল ইসলাম প্রতিদিন পুলিশ ডমিনিশেন পেট্রলিং এর নেতৃত্ব দিচ্ছেন। পুলিশের এই অপরাধ নিবারনী কার্যক্রমের প্রশংসা করছেন সাধারণ ভোটাররা।
কুড়িগ্রাম পৌর শহরের ব্যবসায়ী আবু মিয়া বলেন, আগামী ২১ তারিখ সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচন। তবে এবারের নির্বাচনটা একটু ব্যতিক্রম। কয়েকদিন থেকে দেখছি পুলিশ খুব দৌঁড়াদৌঁড়ি করছে। আমি ধারণা করে নিয়েছি নির্বাচনকে ঘিরে পুলিশ এমন তৎপর হয়েছে। এমন অবস্থানে পুলিশ থাকলে নির্বাচন শান্তিপূর্ণ হবে বলে বিশ্বাস করি।
কুড়িগ্রামের পুলিশ সুপার (এসপি) আল আসাদ মো. মাহফুজুল ইসলাম জানান, ১ম ধাপের মতো আমরা ২য় ধাপেও অত্যন্ত সততা, হাড়ভাংগা পরিশ্রম, নিষ্ঠা ও পেশাদারিত্বের সাথে কঠোর অবস্থানে আছি। নির্বাচনকে ঘিরে কেউ যদি সহিংসতার পায়তারা করে, সে যেই হোক তাকে আমরা আইনের কাঠগড়ায় আনতে বদ্ধ পরিকর।
Leave a Reply