1. lakituli@gmail.com : admin : Engr. Md. Lakitul Islam
  2. lakitul.umec@gmail.com : Sarder Alamin : Alamin Sarder
শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ১১:০৫ অপরাহ্ন
নোটিশ :
বিভিন্ন জেলা,উপজেলা-থানা,পৈারসভা,কলেজ ও ইউনিয়ন পর্যায় সংবাদকর্মী আবশ্যক ।
সংবাদ শিরনাম :
যথাযথ মর্যাদায় ঐতিহাসিক বড়াইবাড়ী দিবস পালন ৪০০ বছরের মসজিদ দেখতে আসে দূর-দূরান্তের মানুষ ভারতের এক তরফা পানি প্রত্যাহারে অস্তিত্ব সংকটে কুড়িগ্রামের ১৬ নদ-নদী মাদক কারবারির বাড়িতে পুলিশের অভিযানে মাদকসহ গ্রেফতার ১ কুড়িগ্রামে হামলার মামলায় ইউপি চেয়ারম্যান গ্রেফতার বর্ণাঢ্য আয়োজনে কুড়িগ্রামে বর্ষবরণ উদযাপন কুড়িগ্রামে সেনাবাহিনীর অনুপ্রেরণা বিষয়ক সেমিনার মা-মেয়েকে উত্ত্যক্তের ঘটনায় মাইকিং করে সংঘর্ষ মহাসড়কে অবৈধ যান ট্রাক্টরের চাপায় ঝড়লো তাজা ২ স্কুলছাত্রের প্রাণ চাঁপাইনবাবগঞ্জে আব্দুল হাকিম পিন্টুর খুনিদের গ্রেফতার ও শাস্তির দাবীতে মানববন্ধন

দুর্বিষহ জীবনযাত্রায় অন্য পেশায় যাচ্ছেন কুড়িগ্রামের মৃৎশিল্পীরা

  • প্রকাশিত : শুক্রবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪
Image loading....
আনোয়ার সাঈদ তিতু, কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি:-
চরাঞ্চলীয় কচাকাটার মৃৎশিল্পীরা তাদের পূর্ব পুরুষের পেশা ছেড়ে অন্য পেশায় নিয়োজিত হচ্ছেন। কুমাররাও এতোদিন টিকে ছিলেন নানা প্রতিকুলতার মধ্য দিয়ে। কিন্তু এটেল মাটি ও জালানীর মূল্য বৃদ্ধি আর পৃষ্ঠপোষকতার অভাব, ব্যাংক বা এনজিও ঋণ না পাওয়া এবং মাটির তৈরী জিনিসের চাহিদা কমে যাওয়াসহ বিভিন্ন কারণে তারা পেশা বদল করতে বাধ্য হচ্ছেন।
কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার কচাকাটা থানার বল্লভেরখাষ ইউনিয়নে গাবতলা কুমারপাড়া গ্রামটি অবস্থিত সবুজ শ্যামল ছায়াঘেরা গ্রামটির মৃৎশিল্পী কারিগরেরা মনের মাধুরী মিশিয়ে শোভা বর্ধন মাটির কলস, চাড়ি, হাড়ি, পাতিল, খুঁটি, মাটির ব্যাংক, বাটনাসহ, নানা বৈচিত্রর খেলনা মাটির তৈরি সামগ্রী রং তুলির কাজ করে আকর্ষণীয় করে তুলছে। রং—তুলির কারুকার্যে মানুষ মুগ্ধ হয়ে যেত। কুমারপাড়া গ্রামে প্রায় ২০টি পাল পরিবার রয়েছে। তারা তাদের মাটির তৈরি বাসন পত্র বিভিন্ন হাটে বাজারে বিক্রি করেন ঠেলাগাড়ি ও ভাড়ে করে। বর্তমানে মানুষ মাটির সামগ্রীর পরিবর্তে এলুম্যানিয়াম, ল্পাস্টিক ও মেলামাইনের সামগ্রীর ব্যবহার করার ফলে তাদের তৈরী জিনিস পত্রের চাহিদা অনেকটা কমে গেছে এবং কালের বির্বতনে বিলীনের পথে।
কুমারপাড়া গ্রামের আরতি বালা পাল জানান, যুগের পরিবর্তন, মানুষের জীবন যাত্রার মান উন্নয়নের সাথে সাথে ঐতিহ্যবাহী মাটির তৈরির দ্রব্যাদি মূল্যহীন হয়ে পড়েছে। বাবু লাল পাল বলেন, এ শিল্পকে ধরে রাখার জন্য পুঁজি নেই। বাধ্য হয়ে পেশা ছেড়ে দিতে হচ্ছে। পরেশ লাল ও বিমল লাল পাল বলেন, ব্যাংক বা এনজিও আমাদের এ পেশায় ঋণ দিচ্ছে না। ছেলে মেয়েদের শিক্ষিত করে গড়ে তোলা অনেক কঠিন। তাই ছেলে মেয়েদের শিক্ষিত করার জন্য তারা এ পেশা ছেড়ে দিয়ে লাভজনক পেশা খুজছেন।
কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল আরীফ বলেন, মৃৎশিল্পীর মনের মাধুরী মিশিয়ে মাটির কলস, চাড়ি, হাড়ি, পাতিল, খুঁটি, মাটির ব্যাংক, বাটনাসহ, নানা বৈচিত্রর খেলনা মাটির তৈরি সামগ্রী রং তুলির কাজ করে আকর্ষণীয় করে তুলছে। রং—তুলির কারুকার্যে মানুষ মুগ্ধ। কুমারপাড়া গ্রামে প্রায় ২০টি পাল পরিবার রয়েছে। আশা করছি দ্রুত সময়ের মধ্য সমস্যার সমাধান হবে।

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

‍এই ক্যাটাগরির ‍আরো সংবাদ