1. lakituli@gmail.com : admin : Engr. Md. Lakitul Islam
  2. lakitul.umec@gmail.com : Sarder Alamin : Alamin Sarder
মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১:৩৮ পূর্বাহ্ন
নোটিশ :
বিভিন্ন জেলা,উপজেলা-থানা,পৈারসভা,কলেজ ও ইউনিয়ন পর্যায় সংবাদকর্মী আবশ্যক ।
সংবাদ শিরনাম :
কুড়িগ্রামে উপজেলা আ.লীগ নেতা গ্রেফতার ‘বন্ধু’ সংগঠনের সৌজন্যে শীতবস্ত্র পেলো ৫ শতাধিক শীতার্ত কুড়িগ্রামে ডিজেল পাচার কালে আটক ২ ভারতে অনুপ্রবেশের সময় বিজিবি কর্তৃক যুবক আটক নেত্রকোনা বারহাট্টয় যুবপুরামের উদ্যোগে হুইসেল ব্লোয়ারদের অন্তর্ভুক্তি সভা অনুষ্ঠিত ব্রহ্মপুত্রের ভাঙ্গন ঠেকাতে স্থায়ী ব্যবস্থার দাবিতে নদীতীরে মানববন্ধন মেয়াদোত্তীর্ণ কীটনাশক বিক্রয়ের দায়ে ৩ দোকানিকে জরিমানা দোকান উচ্ছেদের নামে হামলা, লুটপাটের ঘটনায় ব্যবসায়ীদের মানববন্ধন কুড়িগ্রামে বিনামূল্যে উচ্চ ফলনশীল ব্রি-১০০ ধানবীজ বিতরণ কুড়িগ্রামে পিলখানা হত্যা ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের দাবিতে মানববন্ধন

দুর্বিষহ জীবনযাত্রায় অন্য পেশায় যাচ্ছেন কুড়িগ্রামের মৃৎশিল্পীরা

  • প্রকাশিত : শুক্রবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪
Image loading....
আনোয়ার সাঈদ তিতু, কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি:-
চরাঞ্চলীয় কচাকাটার মৃৎশিল্পীরা তাদের পূর্ব পুরুষের পেশা ছেড়ে অন্য পেশায় নিয়োজিত হচ্ছেন। কুমাররাও এতোদিন টিকে ছিলেন নানা প্রতিকুলতার মধ্য দিয়ে। কিন্তু এটেল মাটি ও জালানীর মূল্য বৃদ্ধি আর পৃষ্ঠপোষকতার অভাব, ব্যাংক বা এনজিও ঋণ না পাওয়া এবং মাটির তৈরী জিনিসের চাহিদা কমে যাওয়াসহ বিভিন্ন কারণে তারা পেশা বদল করতে বাধ্য হচ্ছেন।
কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার কচাকাটা থানার বল্লভেরখাষ ইউনিয়নে গাবতলা কুমারপাড়া গ্রামটি অবস্থিত সবুজ শ্যামল ছায়াঘেরা গ্রামটির মৃৎশিল্পী কারিগরেরা মনের মাধুরী মিশিয়ে শোভা বর্ধন মাটির কলস, চাড়ি, হাড়ি, পাতিল, খুঁটি, মাটির ব্যাংক, বাটনাসহ, নানা বৈচিত্রর খেলনা মাটির তৈরি সামগ্রী রং তুলির কাজ করে আকর্ষণীয় করে তুলছে। রং—তুলির কারুকার্যে মানুষ মুগ্ধ হয়ে যেত। কুমারপাড়া গ্রামে প্রায় ২০টি পাল পরিবার রয়েছে। তারা তাদের মাটির তৈরি বাসন পত্র বিভিন্ন হাটে বাজারে বিক্রি করেন ঠেলাগাড়ি ও ভাড়ে করে। বর্তমানে মানুষ মাটির সামগ্রীর পরিবর্তে এলুম্যানিয়াম, ল্পাস্টিক ও মেলামাইনের সামগ্রীর ব্যবহার করার ফলে তাদের তৈরী জিনিস পত্রের চাহিদা অনেকটা কমে গেছে এবং কালের বির্বতনে বিলীনের পথে।
কুমারপাড়া গ্রামের আরতি বালা পাল জানান, যুগের পরিবর্তন, মানুষের জীবন যাত্রার মান উন্নয়নের সাথে সাথে ঐতিহ্যবাহী মাটির তৈরির দ্রব্যাদি মূল্যহীন হয়ে পড়েছে। বাবু লাল পাল বলেন, এ শিল্পকে ধরে রাখার জন্য পুঁজি নেই। বাধ্য হয়ে পেশা ছেড়ে দিতে হচ্ছে। পরেশ লাল ও বিমল লাল পাল বলেন, ব্যাংক বা এনজিও আমাদের এ পেশায় ঋণ দিচ্ছে না। ছেলে মেয়েদের শিক্ষিত করে গড়ে তোলা অনেক কঠিন। তাই ছেলে মেয়েদের শিক্ষিত করার জন্য তারা এ পেশা ছেড়ে দিয়ে লাভজনক পেশা খুজছেন।
কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল আরীফ বলেন, মৃৎশিল্পীর মনের মাধুরী মিশিয়ে মাটির কলস, চাড়ি, হাড়ি, পাতিল, খুঁটি, মাটির ব্যাংক, বাটনাসহ, নানা বৈচিত্রর খেলনা মাটির তৈরি সামগ্রী রং তুলির কাজ করে আকর্ষণীয় করে তুলছে। রং—তুলির কারুকার্যে মানুষ মুগ্ধ। কুমারপাড়া গ্রামে প্রায় ২০টি পাল পরিবার রয়েছে। আশা করছি দ্রুত সময়ের মধ্য সমস্যার সমাধান হবে।

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

‍এই ক্যাটাগরির ‍আরো সংবাদ