1. lakituli@gmail.com : admin : Engr. Md. Lakitul Islam
  2. lakitul.umec@gmail.com : Sarder Alamin : Alamin Sarder
শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৫, ০৯:০২ অপরাহ্ন
নোটিশ :
বিভিন্ন জেলা,উপজেলা-থানা,পৈারসভা,কলেজ ও ইউনিয়ন পর্যায় সংবাদকর্মী আবশ্যক ।
সংবাদ শিরনাম :
৪০০ বছরের মসজিদ দেখতে আসে দূর-দূরান্তের মানুষ ভারতের এক তরফা পানি প্রত্যাহারে অস্তিত্ব সংকটে কুড়িগ্রামের ১৬ নদ-নদী মাদক কারবারির বাড়িতে পুলিশের অভিযানে মাদকসহ গ্রেফতার ১ কুড়িগ্রামে হামলার মামলায় ইউপি চেয়ারম্যান গ্রেফতার বর্ণাঢ্য আয়োজনে কুড়িগ্রামে বর্ষবরণ উদযাপন কুড়িগ্রামে সেনাবাহিনীর অনুপ্রেরণা বিষয়ক সেমিনার মা-মেয়েকে উত্ত্যক্তের ঘটনায় মাইকিং করে সংঘর্ষ মহাসড়কে অবৈধ যান ট্রাক্টরের চাপায় ঝড়লো তাজা ২ স্কুলছাত্রের প্রাণ চাঁপাইনবাবগঞ্জে আব্দুল হাকিম পিন্টুর খুনিদের গ্রেফতার ও শাস্তির দাবীতে মানববন্ধন ৫ কৃষককে মারধরে পতাকা বৈঠকে বিএসএফের দুঃখপ্রকাশ

কুড়িগ্রামের মেধাবী শিক্ষার্থী জয়নব খাতুন, ফিরছে লাশ হয়ে

  • প্রকাশিত : রবিবার, ২১ জানুয়ারী, ২০২৪
ছবি লোড হচ্ছে....
ছবি-ফাইল ফটো
আনোয়ার সাঈদ তিতু, কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি:-
বান্দরবানে পর্যটকবাহী জিপ খাদে পড়ে নিহত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী জয়নব খাতুনের (২৩) বাড়ি কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলায়। দরিদ্র পরিবারের একমাত্র আশার আলো ছিল মেধাবী এই শিক্ষার্থী। জিপ খাদে পরে মৃত্যুর ঘটনায় তার পরিবারের সবার সেই আশা যেন পাহাড়ের খাদেই বিলীন হয়ে গেছে। শনিবার (২০ জানুয়ারি) রাতে জয়নবের বাবা ও বড় ভাইয়ের সঙ্গে কথা হলে তারা এভাবেই নিজেদের শোকানুভূতি প্রকাশ করেন।
জয়নব ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ক্রিমিনোলজি বিভাগে স্নাতকোত্তর শিক্ষার্থী ছিলেন। তার বাড়ি রৌমারী উপজেলার সদর ইউনিয়নের মন্ডলপাড়া গ্রামে। তার বাবার নাম আবদুল জলিল এবং মায়ের নাম জুলেখা বেগম। তিন ভাইবোনের মধ্যে জয়নব সবার ছোট।
জয়নবের বড় ভাই মেহেদী হাসান বাবু বলেন, ‘জয়নব আমাদের পরিবারের একমাত্র আশার আলো ছিল। তাকে ঘিরেই আমাদের সকল স্বপ্ন আবর্তিত হতো। সেই বোন এভাবে পৃথিবী থেকে চলে যাবে তা ভাবতেও পারিনি। আমি এখন তার লাশ আনতে ঢাকার পথে রয়েছি।’
‘আমাদের মতো প্রত্যন্ত গ্রাম আর দরিদ্র পরিবার থেকে জয়নব ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পেয়েছিল। সে কোনও কোচিং কিংবা প্রাইভেট পড়েনি। শুধু বাড়িতে পড়েই বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পেয়েছিল। আমাদের বিশ্বাস ছিল সে জীবনে ভালো কিছু করবে। তার কোনও চাওয়া আমরা অপূর্ণ রাখতাম না। নিজেরা খাই না খাই তার চাওয়া পাওয়া পূরণ করার চেষ্টা করতাম’—যোগ করেন মেহেদী।
জয়নবের বাবার আবদুল জলিল বলেন, ‘মেয়ের মারা যাওয়ার খবরে ওর মা বাকহীন হয়ে গেছে। আমি কথা বলতে পারছি না। শুধু চাই, মেয়েটাকে গ্রামে আইনা এইখানে রাখবো (কবর দেবো)। আমি কিছু বুঝি না। ছেলেকে পাঠাইছি। আপনারা একটু সাহায্য করেন।’
জয়নবের সঙ্গে সর্বশেষ কথোপকথন নিয়ে তার বাবা বলেন, ‘মেয়ে ঘুরতে যেতে চেয়ে ফোন দিয়েছিল। আমি বলেছিলাম, বন্ধুরা সবাই গেলে যাইয়ো। এরপর আর কথা বলতে পারি নাই। কিন্তু লাশ হয়ে ফিরবে ভাবিনি।’
প্রসঙ্গত, শুক্রবার ৪৫ জনের একটি পর্যটক দল বান্দরবান জিপ-মাইক্রোবাস স্টেশন থেকে পাঁচটি পর্যটকবাহী গাড়ি নিয়ে কেউক্রাডং ভ্রমণে যায়। শনিবার সকালে ফেরার পথে রুমা-কেউক্রাডং সড়কের রুমসংপাড়া ও দার্জিলিং পাড়ার মাঝামাঝি এলাকার চিংড়ি ঝিরি নামক স্থানে গেলে একটি ভি-৭০ চাঁদের গাড়ি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পাহাড়ের খাদে পড়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই দুই নারী নিহত হন। আহত হন ১২ জন। নিহত দুই জনের একজন কুড়িগ্রামের জয়নব খাতুন।

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

‍এই ক্যাটাগরির ‍আরো সংবাদ