আনোয়ার সাঈদ তিতু, কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি:-.
কুড়িগ্রাম জেলার দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ২০২৪ এর মোট ০৪ টি আসনের মোট ৩০ জন প্রার্থীর মধ্যে ২৩ জন প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে।
#কুড়িগ্রাম-৩ আসনটি জাতীয় পার্টির দুর্গ হিসেবে খ্যাত। দীর্ঘদিন পর গত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আসনটি উদ্ধার করে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ। সেই ধারা অব্যাহত রেখে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে বিপুল ভোটে জয়লাভ করেন আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী সৌমেন্দ্র প্রসাদ পান্ডে গবা। তিনি নৌকা প্রতীকে ৫৪ হাজার ৪৪৯ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হন।
তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী ডাঃ মোঃ আক্কাছ আলী সরকার ট্রাক প্রতীকে পেয়েছেন ৩৪ হাজার ৩৬০ ভোট।
জানা গেছে, ১৩ টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা নিয়ে গঠিত এ আসনে মোট ভোটার তিন লাখ ৪৭ হাজার ২৬১ জন। এর মধ্যে পুরুষ এক লাখ ৭১ হাজার ৫৭০ এবং নারী এক লাখ ৭৫ হাজার ৬৯১ জন। গতকাল রবিবার অনুষ্ঠিত দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে ৯৬ হাজার ৭৮০ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন।
নির্বাচন কমিশনের বিধিমালা অনুযায়ী কোনো প্রার্থীকে জামানত রক্ষা করতে হলে মোট বৈধ ভোটের (কাস্টিং ভোট) ৮ ভাগের ১ ভাগ পেতে হবে। সে হিসাবে এ আসন থেকে সাতজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলেও জামানত হারিয়েছেন পাঁচজন।
তাঁরা হলেন জাতীয় পার্টির প্রার্থী মোঃ আব্দুস সোবহান (লাঙল) প্রতীকে পেয়েছেন ০৭ হাজার ২৭৭, বাংলাদেশ তৃণমূল বিএনপির প্রার্থী মোঃ আব্দুল বাতেন (সোনালী আঁশ) ১২৫ ভোট, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির প্রার্থী মোঃ মোসাদ্দেকুল আলম (আম) ৮৭ ভোট, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের প্রার্থী মোঃ হাবিবুর রহমান (গামছা) ২২২ ভোট, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের প্রার্থী এডভোকেট মোঃ সাফিউর রহমান (নোঙর) প্রতীকে পেয়েছেন ২৬০ ভোট।
#কুড়িগ্রাম-৪ আসনে (চিলমারী, রৌমারী ও রাজিবপুর) আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকে অ্যাডভোকেট বিপ্লব হাসান ৮১ হাজার ১৩২ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন।
তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী মজিবুর রহমান বঙ্গবাসী ঈগল প্রতীকে পেয়েছেন ১২ হাজার ৬৫২ ভোট।
এ আসনে মোট তিন লাখ ৩৮ হাজার ৪০৬ জন ভোটারের মধ্যে এক লাখ ১৮ হাজার চারটি বৈধ ভোট কাস্ট হয়েছে। প্রার্থীদের জামানত ফিরে পেতে ১৪ হাজার ৭৫১ ভোট প্রয়োজন ছিল। কোনো প্রার্থী সে পরিমাণ ভোট পাননি। ফলে ১১ প্রার্থীর মধ্যে ১০ জনের জামানত বাজেয়াপ্ত হয়।
তাঁরা হলেন, স্বতন্ত্র প্রার্থী মজিবুর রহমান বঙ্গবাসী ঈগল প্রতীকে পেয়েছেন ১২ হাজার ৬৫২ ভোট, জাতীয় পার্টির লাঙল প্রতীকে এ কে এম সাইফুর রহমান পেয়েছেন ১২ হাজার ২৮১ ভোট, ঢেঁকি প্রতীকে ডা. ফারুকুল ইসলাম পান ০৭ হাজার ৮১৯ ভোট, শহিদুল ইসলাম শালু ট্রাক প্রতীকে পেয়েছেন ০২ হাজার ৫৪১ ভোট, শাহ্ মো. নুর-ই-শাহী কলার ছড়ি প্রতীকে পেয়েছেন ৬৭১ ভোট, তৃণমূল বিএনপির সোনালী আঁশ প্রতীকে আতিকুর রহমান খান পেয়েছেন ৩৯৬ ভোট, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের মোহাম্মদ আবু শামিম হাবীব গামছা প্রতীকে পেয়েছেন ২০১ ভোট, মাসুম ইকবাল কাঁচি প্রতীকে পেয়েছেন ১২৮ ভোট, জাতীয় পার্টি জেপি (মঞ্জু) রুহুল আমিন বাইসাইকেল প্রতীকে পেয়েছেন ১১৩ ভোট ও বাংলাদেশ কংগ্রেস পার্টির মোঃ আব্দুল হামিদ ডাব প্রতীকে পেয়েছেন ৭০ ভোট।
#কুড়িগ্রাম-১ আসনে (নাগেশ্বরী ও ভূরুঙ্গামারী) জাতীয় পার্টির নাঙ্গল প্রতীকে এ কে এমন মোস্তাফিজুর রহমান ৮৮ হাজার ৪০৫ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন।
তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বাংলাদেশ জাকের পার্টির প্রার্থী মোঃ আব্দুল হাই মাস্টার পেয়েছেন ৬১ হাজার ১২৩ ভোট। বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনের প্রার্থী ফুলের মালা প্রতীকে কাজী মোঃ লতিফুল কবীর পেয়েছেন ০১ হাজার ৭৯ ভোট, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির প্রার্থী আম প্রতীকে মোঃ নুর মোহাম্মদ পেয়েছেন ০১ হাজার ১৬৩ ভোট এবং বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির প্রার্থী একতারা প্রতীকে মোঃ মনিরুজ্জামান খান ভাসানী পেয়েছেন ১৬৬ ভোট।
#কুড়িগ্রাম-২ আসনে (কুড়িগ্রাম সদর, রাজারহাট ও ফুলবাড়ী) স্বতন্ত্র প্রার্থী ট্রাক প্রতীকে ডাঃ মোঃ হামিদুল হক খন্দকার ০১ লক্ষ ০১ হাজার ৯২৯ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন।
তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির নাঙ্গল প্রতীকে বর্তমান এমপি পনির উদ্দিন আহমেদ ৪৭ হাজার ১০০ ভোট পেয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছেন। এছাড়াও স্বতন্ত্র প্রার্থী মোঃ আবু সুফিয়ান কাঁচি প্রতীকে পেয়েছেন ০১ হাজার ১৪৯ ভোট, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির প্রার্থী আম প্রতীকে মোঃ আব্দুস সালাম পেয়েছেন ৫৬২ ভোট, বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টির প্রার্থী হাতুড়ি প্রতীকে মোঃ আঃ কুদ্দুস মিয়া পেয়েছেন ২৬৭ ভোট, বাংলাদেশ কংগ্রেস পার্টির প্রার্থী ডাব প্রতীকে মোঃ মকবুল হোসেন ৮৮৯ ভোট পেয়েছেন এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী ঈগল প্রতীকে মোঃ নাজমুল হুদা ০৩ হাজার ৭১৭ ভোট পেয়েছেন।
Leave a Reply