দৈনিক কলম অনলাইন ডেস্ক: নোয়াখালীর কবিরহাট উপজেলার চাপরাশিরহাট পশ্চিম বাজারে পরপর ২টি স্বর্ণের দোকানে দুর্ধর্ষ ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এ সময় ডাকাত দল শহীদ উল্লাহ নামে এক কর্তব্যরত পাহারাদারকে হত্যা করে।
আজ শুক্রবার (৮ ডিসেম্বর) রাত ৩টার সময় কবিরহাট উপজেলার চাপরাশিরহাট ইউনিয়নের চাপরাশিরহাট পশ্চিম বাজারে এ ডাকাতি ও হত্যার ঘটনা ঘটে। নিহত পাহারাদার শহীদ উল্লাহ ধানশালিক উপজেলার ধানশালিক ইউনিয়নের চর গুল্লাখালী গ্রামের শামসুল হকের ছেলে।
ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী মা-মনি জুয়েলার্সের মালিক মিন্টু চন্দ্র নাথ জানান, শুক্রবার রাত ৩টার সময় ৪০-৫০ জনের একদল ডাকাত পিকআপ ভ্যান নিয়ে চাপরাশিরহাট বাজারে ডাকাতি করতে আসে। মা-মণি জুয়েলার্সের মালিক ও ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী মিন্টু চন্দ্র নাথ জানান, ৪০-৫০ জনের ডাকাত দল গ্রিল কেটে মা-মণি জুয়েলার্সে ডাকাতি করে।
“ডাকাত দল মা-মণি জুয়েলার্সের লকার, আলমারি কেটে ২৫০ ভরি স্বর্ণ, ১৫০ ভরি রুপা ও নগদ প্রায় তিন লাখ টাকা নিয়ে গেছে।”
মেসার্স নূর জুয়েলার্সের মালিক নুর আলম জানান, একই সময়ে নূর জুয়েলার্স থেকে ৭ ভরি স্বর্ণ, আড়াইশ ভরি রুপা লুট করে নিয়ে যায়। জানা যায়, শরীফ ক্লথ স্টোরের মালিক চলে যাওয়ার সময় ডাকাত দল তার থেকে নগদ অর্থ লুট করে নিয়ে যায়।
স্থানীয় বাসিন্দা আশ্রাফ হোসেন রবেন্স জানান, ডাকাতির সময় বিষয়টি টের পেয়ে ডাকাতদের প্রতিহত করতে চেষ্টা করেন পাহারাদার শহীদ উল্লাহ। ডাকাত দল তাকে মাথায় আঘাত করলে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে তার মৃত্যু হয়।
কবিরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ডাকাত দল কর্তব্যরত পাহারাদারকে মাথায় আঘাত করে। পরে অতিরক্তি রক্তক্ষরণে তার মৃত্যু হয়। ডাকাত দল ডাকাতি করার সময় নোয়াখালীর আঞ্চলিক ভাষায় কথা বলে। তাদের ডাকাত দলে এক ইউপি সদস্যও ছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে।
কবিরহাট উপজেলার ওসি রফিকুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে পুলিশ। নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলেও জানান ওসি।
Leave a Reply