গাজীপুরের টঙ্গীর সোনাবানের শহর তুরাগ নদের তীরে ফজরের নামাজের পর আজ (১৩ জানুয়ারি) আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়েছে বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্বের কার্যক্রম। ইজতেমায় অংশ নিতে কয়েকদিন আগে থেকেই টঙ্গীর তুরাগতীরে জড়ো হতে থাকেন মুসল্লিরা। বৃহস্পতিবার (১২ জানুয়ারি) রাতেও মানুষ এসেছে দলে দলে। তবে, শেষ মুহূর্তে ইজতেমা ময়দানে জায়গা না পেয়ে রাস্তার ধারেই ঠাঁই নিয়েছেন অনেকে।
এদিকে এবারের বিশ্ব ইজতেমাকে কেন্দ্র করে গাজীপুর প্রশাসনের পক্ষ থেকে ব্যাপক কর্মসূচি হাতে নেয়া হয়েছে। আগত মুসল্লিদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে পুরো ইজতেমা ময়দানকে তিনটি সেক্টরে ভাগ করে নিরাপত্তা কার্যক্রম পরিচালিত হবে। বিশ্ব ইজতেমা উপলক্ষে ময়দানের আশপাশে ৭ হাজার ৫৩৯জন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য দায়িত্ব পালন করবেন।
দীর্ঘ ২ বছর পর করোনা মহামারী কাটিয়ে বড় পরিসরে হচ্ছে বিশ্ব ইজতেমা। আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরুর আগের রাতে মুসল্লিদের ঢল নেমেছে ইজতেমা ময়দানের দিকে। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে টঙ্গীর তুরাগ তীরে এসেছেন ইজতেমার প্রথম পর্বে অংশ নিতে।
রাতভর নানা উপায়ে সময় কাটিয়েছেন মুসল্লিরা। কেউ তাবুতে শুয়ে, কেউ সঙ্গীদের সাথে গল্প করে, আবার কেউ পরেরদিনের জন্য রান্না সেরেছেন। মুসল্লিরা জানান, ইজতেমায় আসার একমাত্র লক্ষ্য, মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন।
আয়োজকরা জানান, পুরো ময়দানকে জেলাওয়ারী ৯১ ভাগে ভাগ করা হয়েছে। অবস্থান নিশ্চিত করতে কয়েকদিন আগে থেকেই আসেন লোকজন। শেষ মুহূর্তে এসে তাঁবুতে ঠাঁই পাননি অনেকে।
দুপুরে ইজতেমা মাঠেই হবে জুমার নামাজে দেশের সর্ববৃহৎ জামায়াত। কয়েক লাখ মানুষের এ জামায়াতে ইমামতি করবেন কাকরাইল মসজিদের মাওলানা জোবায়ের। মুসল্লিরা জানান, বিশ্ব মুসলিম উম্মাহর শান্তি কামনায় দোয়া করবেন তারা।
যে কোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে সতর্ক রয়েছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। রোববার (১৫ জানুয়ারি) আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হবে বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব। ( সংবাদ সংগৃহীত )
Leave a Reply