অনলাইন ডেস্ক::
রংপুরের মিঠাপুকুরের ০৩ নং পায়রাবন্দ ইউনিয়নের অভিরামনুরপুর গ্রামে বিধবা মামীকে বিয়ে করার পর পরিবার এবং সমাজের চাপে গ্রাম্য সালিশে কাজী ডেকে গ্রামবাসীর উঠানো টাকায় তালাক দেয়ার পর পুণরায় আবারো মামী এবং ভাগ্নের গোপনে বিয়ে রেজিষ্ট্রি হয়েছে।
এ ঘটনায় এলাকায় ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে বলে জানা যায়।
এলাকাবাসী জানান, অভিরামনুরপুর গ্রামের দুই সন্তানের জনক গোলজার একই গ্রামে বসবাসরত তার মামী হোসনে-আরা বেগমের স্বামী মারা গেলে ভাগ্নে গোলজারের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে ঢাকায় নিয়ে গিয়ে বসবাস শুরু করেন এবং গোলজার তৃতীয় বিয়ে করেন।
বেশ কিছুদিন আগে গ্রামে এসে সুদের ব্যবসা শুরু করলে তারা বিয়ের বিষয়টি অস্বীকার করে আসছিলো। কেউ জিজ্ঞাসা করলে উভয়ে অস্বীকার করে মামী হোসনে আরা বেগমের সুদের টাকা দেখাশুনা করেন এটা বলতো?
মাসখানেক আগে মামী ভাগ্নের গন্ডগোল হলে উভয়ে গ্রাম্য সালিশি বৈঠকে স্বীকার করেন তারা স্বামী-স্ত্রী।
এতে উপস্থিত লোকজনকে তারা বলেন, আর ভুল করবেন না। তাদের তালাক দেয়ার ব্যবস্থা করে দিতে।
উপস্থিত ইউপি সদস্য সোলায়মান মেম্বার, গোলাম মিয়া, আলামিন, এরশাদের নেতৃত্বে কাজী ডেকে তালাক প্রদান করা হয় এবং গ্রামবাসী জানিয়ে দেয় এ ভুল করলে গ্রাম থেকে বের করে দেয়া হবে।
গতকাল রাতে ০৩ নং পায়রাবন্দ ইউনিয়নের বিবাহ রেজিস্ট্রারের বাড়িতে গোপনে গিয়ে ২০ হাজার একশত একটাকা দেনমোহর নির্ধারণ করে আবারো বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন।
এ বিষয়ে গ্রামবাসী এখনো না জানলেও কয়েকজন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ব্যক্তি আমার সংবাদকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
এ বিষয়ে জানতে বিবাহ রেজিস্ট্রার আনছারুলের সঙ্গে কথা হলে তিনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন। পূর্বের দুই বউয়ের অনুমতি নেয়া আছে কিনা জানতে চাইলে ফোন কেটে দেন তিনি।
Leave a Reply