অনলাইন ডেস্ক ::
টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রীকে নিয়ে এক বিবাহিত যুবকের লাপাত্তা হওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। হুমায়ুন নামে ওই যুবক এক সন্তানের বাবা। ২৭ অক্টোবর তাকে আটক করে পুলিশ।
২৮ অক্টোবর আসামিকে কোর্টে এবং ভুক্তভোগীকে মেডিকেল পরীক্ষার জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
জানা গেছে, উপজেলার বিলচাপড়া গ্রামের হুমায়ুন বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে নানা সময়ে ওই স্কুলছাত্রীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তোলেন।
স্কুলছাত্রীর পরিবার জানায়, হুমায়ুনের বাড়ির পাশেই ওই স্কুলছাত্রীর ফুফুর বাড়ি। আত্মীয়তার সম্পর্কের সূত্রে হুমায়ুন তাদের ওই বাড়িতে নিয়মিত আসা-যাওয়া করতেন। এক পর্যায়ে ওই ছাত্রীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন যুবক। এরই ধারাবাহিকতায় হুমায়ুন গত ২৪ অক্টোবর ওই ছাত্রীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে বাড়ি থেকে স্বর্ণালঙ্কার ও নগদ টাকা পয়সা নিয়ে পালিয়ে আসতে বলে।
তার কথামতো মেয়েটি বাড়িতে রাখা গরু বিক্রির এক লাখ টাকা নিয়ে হুমায়ুনের সঙ্গে পালিয়ে যায়। পরে পাশ্ববর্তী ঘাটাইল উপজেলার সন্ধানপুর ইউনিয়নের গৌরিশ্বর গ্রামের হুমায়ুনের এক আত্মীয়র বাড়ি ওঠে তারা। সেখানে তারা স্বামী-স্ত্রী পরিচয় দেয়।
স্থানীয়দের কাছে বিষয়টি সন্দেহ হলে তাদেরকে আটকে রেখে ঘাটাইল থানা পুলিশে খবর দেয়া হয়। পরে ২৭ অক্টোবর ঘাটাইল থানা পুলিশ তাদের আটক করে।
স্কুলছাত্রীর মা জানান, আমাদের কোনো ছেলে নেই, একটি মাত্র মেয়ে। ওই দিন আমাদের একটি ছাগল খুঁজে পাচ্ছিলাম না। পরে ওর বাবা বাড়িতে না থাকায় আমি নিজেই ছাগল খুঁজতে বের হই। বাড়িতে এসে দেখি আমার মেয়েও নেই এবং ঘরে রাখা এক লাখ টাকাও নেই। পরে মেয়েকে অনেক খোঁজাখুঁজি করে না পাওয়ায় হুমায়ুনকে সন্দেহ হয়। এদিকে, হুমায়ুনের ফুফু এবং ফুফাকে টাকাসহ আমার মেয়েকে এনে দিতে বললে তারা বিষয়টি অস্বীকার করেন।
এ ঘটনায় ঘাটাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজহারুল ইসলাম বলেন, ওই স্কুলছাত্রীসহ হুমায়ুনকে আটক করা হয়েছে। পরে জিঙ্গাসাবাদে জানা যায়, তারা স্বামী-স্ত্রী না। এ বিষয়ে নারী শিশু নির্যাতন আইনে মামলা হয়েছে।
Leave a Reply