ভোলা প্রতিনিধি :: ভোলার বিচ্ছিন্ন দ্বীপ উপজেলা মনপুরায় গৃহবধূকে হাত-পা ও মুখ বেঁধে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি মো. শিপন ওরফে আলাউদ্দিনকে (৩৫) গ্রেফতার করা হয়েছে। বুধবার (২৭ অক্টোবর) ভোরে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
শিপন উপজেলার উত্তর সাকুচিয়া ইউনিয়নের চরগোয়ালিয়া গ্রামের কাইয়ুম হাওলাদারের ছেলে। এ মামলার পলাতক চার আসামি হলো—মো. বেল্লাল, মো. হেলাল, মো. ইউসুফ দালাল ও মো. সেলিম মেকার। তাদের বাড়ি চরগোয়ালিয়া গ্রামে। তারা আসামি পলাতক রয়েছে।
মামলার এজাহার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত রবিবার রাতে দুই সন্তানকে নিয়ে নিজ বাড়িতে ঘুমাচ্ছিলেন ওই গৃহবধূ। রাত ১১টার দিকে তাকে নারী কণ্ঠে একাধিকবার ডাক দেয় একজন। ঘরের দরজা খোলার সঙ্গে সঙ্গে শিপন, বেল্লাল, হেলাল, ইউসুফ ও সেলিম তার হাত, পা ও মুখ বেঁধে পার্শ্ববর্তী বাগানে নিয়ে শারীরিক নির্যাতনসহ ধর্ষণ করে। রাত ১টায় স্থানীয়রা রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে মনপুরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। সোমবার বিকালে শারীরিক অবস্থার অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য ভোলা জেলা সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়।
ঘটনার দিন ভুক্তভোগীর স্বামী বাড়ি ছিলেন না। তিনি সাগরে মাছ ধরতে গিয়েছিলেন। সোমবার রাতে বাদী হয়ে পাঁচ জনকে আসামি করে মনপুরা থানায় মামলা করেন ভুক্তভোগী গৃহবধূ।
মনপুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইদ আহমেদ জানান, গৃহবধূকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় পাঁচ জনকে আসামি করে থানায় মামলা হয়েছে। প্রধান আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অপর চার জনকে গ্রেফতারে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
Leave a Reply