নিজস্ব প্রতিবেদক।। বরিশাল নৌ- বন্দরে মাহিন্দ্রা, মিশুক (থ্রি হুইলার) ও সিএনজিচালিত অটোরিকশা থেকে লঞ্চঘাটে দীর্ঘদিন যাবৎ ভাটারখাল এলাকার সুমন নামের এক ব্যক্তি গাড়ি সিরিয়াল দেয়ার জন্য চাঁদা আদায় করে আসছেন। এর প্রতিবাদে বিক্ষোভ-মিছিল করেছেন চালকরা।
গতকাল রাত সাড়ে ৯ টার দিকে সুমনের চাঁদাবাজি বন্ধের দাবি নিয়ে নৌবন্দর গাড়ি পার্কিং মাঠে ঘণ্টাব্যাপী বিক্ষোভ করেন সাধারণ শ্রমিকরা।
শ্রমিকরা জানান, মহামারী করোনাভাইরাসের কারণে মাহিন্দ্রা ও সিএনজি অটোরিকশা শ্রমিকদের আয় কমে গেছে। এর মধ্যে প্রতিরাতে নৌবন্দর এলাকায় লঞ্চের যাত্রী পরিবহন করার জন্য আমরা গাড়ি নিয়ে আসলে সুমন ও তার সহযোগীরা সিরিয়াল দেয়ার জন্য চাঁদা আদায় করেন। আমাদের নানা সমস্যার কথা অনেকবার বলেছি ইউনিয়নকে। তারা কোনো পদক্ষেপ নেয়নি।
একাধিক শ্রমিক জানান, সিএনজি যাত্রী পরিবহন করার জন্য লঞ্চঘাট আসলে সুমন ও তার সহযোগীরা সিরিয়াল দেয়ার জন্য অগ্ৰীম দশহাজার টাকা এবং প্রতিরাতে গাড়ি প্রতি ১০০ টাকা আদায় করেন। প্রতিবাদ করলে মারধরের শিকার হতে হয়। তাই চাঁদাবাজি বন্ধের প্রতিবাদে আমরা সব শ্রমিক গাড়ি বন্ধ করে বিক্ষোভ শুরু করি।
আরো জানা যায়, শ্রমিকদের বিক্ষোভের খবর পেয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ছুটে আসেন বরিশাল সদর নৌ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, মহানগর শ্রমিকলীগ সাধারণ সম্পাদক পরিমল চন্দ্র দাস ও ১০ নং ওয়ার্ড আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক শেখর চন্দ্র দাস। এ সময় তারা লঞ্চঘাট বা নৌ-বন্দর এলাকায় কোন মাহিন্দ্রা, মিশুক (থ্রি হুইলার) ও সিএনজিচালিত গাড়ি থেকে কেউ চাঁদাবাজি করলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে শ্রমিকদের প্রতিশ্রুতি দিলে, সাধারণ শ্রমিকরা বিক্ষোভ প্রত্যাহার করেন।
এ বিষয়ে বরিশাল মহানগর শ্রমিকলীগ সাধারণ সম্পাদক পরিমল চন্দ্র দাস, জানান আমি সবসময় সাধারণ শ্রমিকদের পাশে আছি। লঞ্চঘাট বা নৌ-বন্দর এলাকায় কোন গাড়ি থেকে কেউ চাঁদাবাজি করলে আইনানুগ ব্যাবস্থা গ্ৰহন করা হবে।
বরিশাল সদর নৌ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হাসানাতুজ্জামান বলেন, লঞ্চঘাট বা নৌ বন্দর এলাকায় কোন ধরনের গাড়ি থেকে কেউ চাঁদাবাজি করতে পারবেন না, কেউ চাঁদাবাজি করলে আইনানুগ ব্যাবস্থা নেয়া হবে।
ভিডিও লিংক:: https://www.facebook.com/106831711767222/videos/965640837324732/
Leave a Reply