বরগুনা প্রতিনিধি:: বরগুনায় মাদ্রাসা পড়ুয়া এক ছাত্রীকে অপহরণের প্রায় ১ মাস ২৫ দিন পর অপহরণকারী ও তার বাবার বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা করেছে ওই ছাত্রীর বাবা। বুধবার (১৩ অক্টোবর) বরগুনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. হাফিজুর রহমান মামলাটি গ্রহণ করে বরগুনা থানার ওসিকে এজাহার নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলার আসামিরা হলেন- বরগুনা সদর উপজেলার বদরখালী ইউনিয়নের পাতাকাটা গ্রামের নজরুল ইসলাম কাজি ও তার ছেলে সাকিব (১৯)।
মামলা সূত্রে জানা যায়, আসামি সাকিব বিভিন্ন সময় বাদীর দশম শ্রেণী পড়ুয়া মেয়েকে মাদ্রাসায় আসা যাওয়ার পথে উত্ত্যক্ত করতো ও কুপ্রস্তাব দিত। কুপ্রস্তাবে রাজি না হলে সাকিব মেয়েটিকে অপহরণের সুযোগ খুঁজতে থাকে। এ বছরের ১৮ আগস্ট সন্ধ্যা ৭টার দিকে মেয়েটি তার মায়ের সাথে বরগুনা বাজার থেকে বাড়ি ফিরছিল।
এ সময় আসামি সাকিব ও অজ্ঞাতনামা ২/৩ জন গৌরীচন্না কলেজ সংলগ্ন রাস্তায় তাদের পথ আটকায় এবং দেশীয় অস্ত্রের মুখে করে খুনের ভয় দেখিয়ে মেয়েটিকে তার মায়ের সামনে থেকে দুটি মোটরসাইকেলযোগে অপহরণ করে নিয়ে যায়।
মামলার বাদী বলেন, আমার মেয়েকে বিভিন্ন স্থানে খুঁজেছি। কোথাও না পেয়ে সাকিবের বাবা নজরুল কাজির কাছে গেলে তিনি অল্প দিনের মধ্যে আমার মেয়েকে ফিরিয়ে দেবার কথা বলেন। এরপর গত ২৮ সেপ্টেম্বর বিকালে আমার স্ত্রীর মোবাইলে একটি অপরিচিত নম্বর থেকে আমার মেয়ে কল করে বলে মা আমি পালিয়ে বাড়ি আসতেছি। পরের দিন সকালে আমার মেয়ে বাড়িতে এসে জানায় আসামি সাকিব তাকে অপহরণ করে বিভিন্ন স্থানে রেখে ধর্ষণ করেছে। মানসম্মানের কথা ভেবে সাকিবকে বিয়ের কথা বললে সাকিব বিয়েতে অসম্মতি জানায়।
একপর্যায়ে বাধ্য হয়ে (১ অক্টোবর) বিকালে বরগুনা থানায় মামলা করতে গেলে থানা কর্তৃপক্ষ মামলা না নিয়ে বিজ্ঞ ট্রাইব্যুনালে মামলা করার পরামর্শ দেয়। বরগুনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কেএম তারিকুল ইসলাম বলেন, এ ব্যাপারে বরগুনা থানায় কেউ মামলা করতে আসেনি। মামলা করতে আসলে অবশ্যই মামলা নিতাম।
Leave a Reply