নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের ৫ নং ওয়ার্ডের পলাশপুর এলাকায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে নারী ও শিশু নির্যাতনের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
সরেজমিনে গিয়ে ভুক্তভোগীদের অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ৯ তারিখ শনিবার বিকেলে পলাশপুর হযরত ওমর ( রাঃ) তাহফীজুল কুরআন ও নূরানী মাদ্রাসার নাজেরা বিভাগের ছাত্র বাইজিদ ( ১২) কে পার্শ্ববর্তী এলাকার ফজলুল হক নামের এক ব্যক্তি তার মেয়ে ফারজানাকে বাথরুমে আটকে রাখার অভিযোগে মারধর করে। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে হেঁটে যাওয়া শিল্পী বেগম তাকে প্রতিরোধ করে ছেলেটিকে উদ্ধার করে মাদ্রাসায় নিয়ে যায়। উক্ত ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করলে সন্ধ্যার পরেই সালিশ বৈঠকের সিদ্ধান্ত হয়। পরে সালিশ বৈঠকে শিল্পী বেগম মাদ্রাসার ছাত্র বাইজিদকে মারধরের ঘটনা বর্ণনা দিতে গেলে তার ওপর চড়াও হয় ঘটনাস্থলেই তার গায়ে তুলে মারধর করে ফজলুল হকের আত্মীয় জাহিদ। দুই দফা মারধরের ঘটনায় এলাকাবাসীর মধ্যে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে বলে জানা যায়।
এদিকে নিজেকে বাঁচাতে জাহিদ নাটকীয় ভাবে হাসপাতালে ভর্তি হয়। ভুক্তভোগী শিল্পী বেগমের স্বামী সমীর সরদার বলেন, তারা একদিকে শিশু নির্যাতন করেছে অন্যদিকে আমার স্ত্রীকে মেরে নারী নির্যাতন করেছে তাই আমি অভিযুক্তদের উপযুক্ত বিচার দাবি করছি। মারধরের শিকার শিল্পী বেগম বলেন, আজ আমি সত্য কথা বলতে গিয়ে মার খেয়েছি তাই আমি দোষীদের কঠিন শাস্তি দাবি করছি।
আরএক ভুক্তভোগী মাদ্রাসাছাত্র বাইজিদ বলেন আমাকে অহেতুক ভাবে মারধর করেছে আমি তাদের বিচার চাই। ভুক্তভোগী পরিবার ইতিমধ্য অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করেছেন বলে যানা যায়।
মাদ্রাসার মুহতামিম আব্দুর রহমান বলেন, বাইজিদ এবং ফারজানা দুজনেই আমার মাদ্রাসার ছাত্র ছাত্রী একটি ভুল বোঝাবুঝির মাধ্যমে এত ঘটনা ঘটে গেল তাই আমি চাই মাদ্রাসা সুনাম রক্ষার্থে বিষয়টি দ্রুত সমাধান হোক।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত ব্যাক্তিদের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তাদের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
Leave a Reply